প্রতিদিনের রুটিনে কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস যোগ করতে পারলে জীবনযাত্রার মান হয়ে উঠতে পারে অনেক ভালো।
খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো নয়। ধীরে খেলে হজম ভালো হয়, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও কমে। খাবারের স্বাদও ঠিকভাবে উপভোগ করা যায়।
ফলের রসের বদলে আস্ত ফল খাওয়াই উত্তম। ফলে আঁশ, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
প্রতিদিনের খাবারে রাখুন শাকসবজি। এতে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অফিসের দীর্ঘ সময় বসে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাঝেমধ্যে উঠে হাঁটা বা অল্প নড়াচড়া রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, ক্যালরি খরচ করে এবং মনকে সতেজ রাখে।
ভিটামিন ডি পেতে প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকা জরুরি। এটি হাড় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য।
মানুষের সঙ্গে আন্তরিক যোগাযোগ মানসিক চাপ কমায়, আনন্দ বাড়ায় এবং একাকিত্ব থেকে মুক্তি দেয়। বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীর সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতি এক-দেড় ঘণ্টা পর মাত্র পাঁচ মিনিট চোখ বন্ধ রাখা, লম্বা শ্বাস নেওয়া বা বাইরে তাকিয়ে থাকা মনকে শান্ত করে, কাজের দক্ষতাও বাড়ায়।
অতিরিক্ত চিনি ও লবণ উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয় ও ফাস্টফুড কমাতে হবে।
যত কাজই থাকুক, পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। ঘুম শরীরকে মেরামত করে, মানসিক সতেজতা ফিরিয়ে আনে।
দিনভর পর্যাপ্ত পানি খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়, ত্বক উজ্জ্বল থাকে এবং শক্তি ধরে রাখা যায়।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা শুরু হয় প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাস থেকে। এগুলো আলাদা করে কঠিন কিছু নয়, কিন্তু নিয়মিত চর্চা করলে শরীর, মন ও জীবন সবই হয়ে উঠবে আরও সুন্দর ও পরিপূর্ণ।