বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন তরুণের একজন হৃদ্‌রোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বিশ্বে প্রতি বছর হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের কারণে প্রায় ১৮ মিলিয়ন জীবনের অবসান ঘটে। যার অধিকাংশই শুধু স্বাস্থ্যসচেতনতার মাধ্যমে  প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি গুরুতারোপ করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর ৩৮ লাখ পুরুষ এবং ৩৪ লাখ নারী হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার মধ্যে প্রতি চারজনের একজনের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে করোনারি হার্ট ডিজিজ বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ, যা মূলত অ্যাথোরোসক্লেরোসিসের ফল।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যুহার বাড়বে ২৫ শতাংশ। উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিস হচ্ছে অসংক্রামক ব্যাধির অন্তর্ভুক্ত। এ জন্য বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমও পরিচালনা করে বিশ্ব হার্ট ফেডারেশন।  

বিজ্ঞাপন

আজকাল মানুষ অল্প বয়সেই নানা ধরনের রোগ ও সমস্যার শিকার হচ্ছে। হার্ট–সংক্রান্ত সমস্যা আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। এমনকি তরুণরাও হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন। মূলত বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ:

১. বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
২. শ্বাসকষ্ট
৩. ক্লান্তি
৪. অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন
৫. হাত–পা ফোলা
৬. অতিরিক্ত ঘাম
৭. মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
৮. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
৯. ওজন বাড়া

বিজ্ঞাপন

হার্ট অ্যাটাকের কারণ:

১. উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন
২. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন গরুর মাংস, ডিম বা ট্রান্স ফ্যাট–জাতীয় খাবার ইত্যাদি
৩. ধূমপান বা জর্দা নিয়মিত সেবন
৪. ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজন
৫. অ্যালকোহল, কোমল পানীয়
৬. পর্যাপ্ত ব্যায়াম না করা
৭. শারীরিক পরিশ্রম না করা
৮. সব সময় শুয়ে থাকা ইত্যাদি।

যেভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর রক্তের কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও স্থূলতায় ভুগছেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেশি। হার্ট অ্যাটাক এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, কোলেস্টেরল সহনীয় মাত্রায় রাখতে হবে। এ জন্য নিয়মিত যোগব্যায়াম ও কিছু কার্ডিও অ্যাক্টিভিটি করতে হবে। পাশপাশি ধূমপান ত্যাগ করতে হবে, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে এবং লবণ কম খেতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত, স্বাভাবিক শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত।

লেখক: মেডিকেল অফিসার, জয়নুল হক সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন