তবে তার এই যাত্রা কোনো কঠিন ডায়েট প্ল্যান বা জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানোর ফল নয়। বরং কিছু ছোট, সহজ কিন্তু নিয়মিত অভ্যাসই তাকে এনে দিয়েছে সুস্থ, আত্মবিশ্বাসী আর একদম নতুন জীবনযাত্রা।
অনেকেরই ধারণা, ওজন কমানো মানেই কঠোর ডায়েট, পাগলাটে ওয়ার্কআউট বা রাতারাতি ফল পাওয়া। আসলে বিষয়টা একেবারেই তা নয়। ওজন কমানো এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসই বড় পরিবর্তনের পথ তৈরি করে।
ক্যাট ড্যানিয়েল সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে জানিয়েছেন। গ্যাস্ট্রিক স্লিভ সার্জারির পর মাত্র দুই বছরে ৭০ কেজি ওজন কমাতে তিনি ভরসা রেখেছেন চারটি সহজ সকালের অভ্যাসের ওপর। এই অভ্যাসগুলোই তাকে মোটিভেটেড রেখেছে এবং ধীরে ধীরে তার লাইফস্টাইলকেই বদলে দিয়েছে।
চলুন জেনে নেই সেই চারটি অভ্যাস—
১. সকালের নাশতা বাদ নয়
অনেকে ভাবেন ব্রেকফাস্ট না খেলেই হয়তো ক্যালরি কমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে এতে উল্টো দিনভর অকারণে স্ন্যাক্স খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ক্যাট বলেন, দিনের শুরুতে যদি প্রোটিনসমৃদ্ধ ও হালকা কিন্তু স্বাস্থ্যকর নাস্তা থাকে, তবে এনার্জি ঠিক থাকে এবং অযথা ক্ষুধাও বাড়ে না।
২. ওভারথিংকের আগে নড়াচড়া
ব্যায়াম মানেই জিমে ঘাম ঝরানো, এমন কোনো নিয়ম নেই। ক্যাট সকালে একটু হাঁটা, হালকা স্ট্রেচিং বা রান্নাঘরে গান চালিয়ে নাচকেও শরীরচর্চার অংশ বানিয়েছেন। তার মতে, সকালে শরীর নড়াচড়া করলে মানসিক চাপ কমে আর রুটিনে নিয়মিত থাকা সহজ হয়।
৩. আগে পানি, তারপর বাকিটা
কফি বা নাশতার আগে এক গ্লাস পানি খাওয়াটা তার অন্যতম নিয়ম। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, হজম ভালো হয় এবং অকারণ খিদেও কমে যায়। ক্যাটের ভাষায় এটাই দিনের সবচেয়ে সহজ কিন্তু সবচেয়ে কার্যকর ম্যাজিক ট্রিক।
৪. বড় প্রতিশ্রুতি নয়, ছোট শুরু
ওজন কমানোর যাত্রায় তিনি কখনো বড় কোনো টার্গেটকে চাপ হিসেবে নেননি। বরং ছোট ছোট লক্ষ্য দিয়ে শুরু করেছেন। যেমন- প্রতিদিন একটু হাঁটা, প্রতিদিন পানি খাওয়া বা প্রতিদিন নিয়মিত ঘুম। ছোট লক্ষ্যে টিকে থাকার মাধ্যমেই তিনি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন এবং বড় পরিবর্তন আনতে পেরেছেন।
ক্যাট ড্যানিয়েলের গল্প প্রমাণ করে যে, ওজন কমানো মানেই কঠিন ডায়েট, এক্সট্রিম এক্সারসাইজ বা অবাস্তব লক্ষ্য নয়। আসল পরিবর্তন আসে ছোট ছোট অভ্যাস তৈরি করে তাতে নিয়মিত থাকার মধ্য দিয়ে। আর এই ছোট চেষ্টাগুলোই ধীরে ধীরে পুরো জীবনটাই বদলে দিতে পারে।
ছবি: ক্যাট ড্যানিয়েল–এর ইনস্টাগ্রাম