খেতে বাধা নেই বাঁধাকপি

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

অন্তর্জাল ঘেঁটে রেসিপি দেখে বাঁধাকপির পাতা দিয়ে করা যায় পুরভরা রোল, মোড়ানো লায়ন মিটবল, কোরিয়ান কিমচি বা পার্মিজান চিজ ছড়ানো বেকড বাঁধাকপি। আর এই দিনে সন্ধ্যার নাশতায় বেশ করে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ দিয়ে কুচোনো বাঁধাকপির বড়া হলে আর কী চাই! আবার এই বড়া দিয়ে করা যায় বাঁধাকপির ইন্দো-চাইনিজ পদ ক্যাবেজ মাঞ্চুরিয়ান। এখন দেশে লাল বা বেগুনি বাঁধাকপির বেশ ফলন হয় শীতকালে। এই বাঁধাকপি আবার সালাদেই বেশি ভালো লাগে। দেওয়া যায় স্যান্ডউইচ বা রোলের পুরেও।

মানবদেহের পুষ্টিসংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকস সেন্টার ফর হিউম্যান নিউট্রিশন। তাদের এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে বাঁধাকপির বিভিন্ন গুণাগুণ আর এই সবজি থেকে পুষ্টি পাওয়ার সর্বোত্তম উপায়গুলো উঠে এসেছে পুষ্টিবিদদের বয়ানে। এখানে তারই চুম্বক অংশ দেওয়া হলো।

বিজ্ঞাপন

বাঁধাকপি কাঁচাই ভালো

বাঁধাকপি অতিরিক্ত সময় ধরে রান্না করা উচিত নয়। এতে সবজিটির পুষ্টিগুণ কমে যায়। এর চেয়ে স্টার ফ্রাই বা সালাদ করে খেলেই সর্বোচ্চ পুষ্টি মেলে বাঁধাকপি থেকে। এতে আছে বেশ পরিমাণ ভিটামিন সি, যা তাপে নষ্ট হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিটামিন সি খাবারে থাকা আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে আর শরীরের ক্ষয়পূরণ করা কোলাজেন তৈরি করে।

আঁশ যোগায় বাঁধাকপি

খাদ্য আঁশের ভালো উৎস বাঁধাকপি। দুই কাপ কাঁচা বাঁধাকপিতে পাঁচ গ্রামের মতো আঁশ থাকে। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে, রক্তে চিনির পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখতে, কোলেস্টেরল কমাতে আর হজম ভালো রাখতে তাই প্রতিদিন বাঁধাকপি খাওয়া ভালো।

বিজ্ঞাপন

ভিটামিন কে মিলবে বাঁধাকপিতে

হাড় ভালো রাখতে আর রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা সঠিক পর্যায়ে রাখতে ভিটামিন কে খুবই প্রয়োজনীয়। এক কাপ কাঁচা বাঁধাকপিতে আছে ৬৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে। সিস্টিক ফাইব্রোসিস বা অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ রুখতে পারে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা বাঁধাকপি।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বাঁধাকপি

ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর বাঁধাকপি। অত্যন্ত লো–ক্যালরিযুক্ত এই সবজি বেশি পরিমাণে রাখতে হবে দিনের খাবারে। এক কাপ রান্নাকরা বাঁধাকপিতে মাত্র ৩৪ ক্যালরি থাকে।

ছবি: পারভীন আলি

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮: ২২
বিজ্ঞাপন