কখনো খুব ছোট করে নখ কাটতে গিয়ে ত্বকের মধ্যে ক্ষত তৈরি হয়। কখনো আবার কোনো কিছুতে খোঁচা লেগেও নখের কোনায় ক্ষত হয়। এই ক্ষতস্থানেই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে নখকুনির মতো যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার সৃষ্টি হয়।পায়ের আঙুলে ধুলোময়লা বা নোংরা লেগে থাকলেও সংক্রমণ হতে পারে।
আবার যাঁদের ত্বক বেশি সংবেদনশীল, তাঁরা যদি অন্যের ব্যবহার করা তোয়ালে বা নেলকাটার বেশি ব্যবহার করেন, তাহলেও সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া যাঁরা খালি পায়ে বেশি হাঁটেন, তাঁদেরও হতে পারে। আবার যাঁরা অপরিষ্কার জায়গায় বেশি হাঁটাহাঁটি করেন, তাঁদেরও হতে পারে এই রোগ।
কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে যন্ত্রণাদায়ক এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব:
১. টি ট্রি অয়েল: এক চা–চামচ নারকেল তেলে দু-তিন ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এই তেল তুলা দিয়ে নখকুনির আক্রান্ত অংশে মোটামুটি মিনিট দশেক লাগিয়ে রাখুন। দিনের মধ্যে দু-তিনবার এমনটা করতে পারলে দ্রুত সেরে যাবে এই সমস্যা।
২. অ্যাপল সিডার ভিনিগার: দুই কাপ জলের সঙ্গে দুই কাপ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণে ৩০ মিনিট নখকুনির আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনা করে মুছে নিন। দু-তিন দিনের মধ্যেই সেরে যাবে নখকুনি।
৩. সাদা ভিনিগার: দুই কাপ উষ্ণ গরম জলে এক কাপ সাদা ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই ভিনিগার মেশানো জলে মোটামুটি মিনিট ১৫ নখকুনির আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনা করে মুছে নিন। দু-এক দিনের মধ্যেই সেরে যাবে নখকুনি।
৪. হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট: এর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণ দিয়ে পায়ের ওপর স্ক্রাব করুন। পরিষ্কার পানিতে পা ধুয়ে নিন। এটি পায়ের চামড়া পরিষ্কার রাখবে এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন হবে না।
৫. লেবুর রস: নখকুনির আক্রান্ত অংশে দু-এক ফোঁটা লেবুর রস লাগান। ২৫-৩০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
লেখক: মেডিকেল অফিসার, জয়নুল হক সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল
ছবি: পেকজেলসডটকম