ইফতার ও সাহরিতে অতিরিক্ত পানি পান করলে কি কোনো লাভ হয়?
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এ বছর লম্বা সময় ধরে রোজা রাখছেন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এদিকে আবহাওয়াও বেশ গরম। ফলে রোজার দিনে পানিশূন্যতা রুখতে নেওয়া দরকার কার্যকর পদক্ষেপ। তবে শুধু ইফতার বা সাহ্‌রিতে একসঙ্গে অনেকটা পানি খেলে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রেখে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পেতে কিছু নিয়ম মানতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ইফতার থেকে সাহ্‌রি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান

হার্ভার্ড হেলথের মতো বিভিন্ন স্বীকৃত সূত্র বলে, এ রকম আবহাওয়ায় স্বাভাবিক গড়নের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে প্রায় তিন লিটার (১০০ আউন্স বা ১৩ কাপ) পানি পান করা উচিত। মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এই পরিমাণ কম (৯ কাপ), কিন্তু রান্নাঘরের গরমে ঘেমে নেয়ে পানিশূন্যতা হতে দেরি লাগে না৷ ফলশ্রুতিতে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের অসুস্থতা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় মনে করে পানি পান করতে হবে। ইফতারের পর একটি পানির বোতল রাখা যায় নিজের কাছে সাহ্‌রি পর্যন্ত। এই হিসাবে ফলের রস, লেবু-পানি বা ডিটক্স ওয়াটার রাখলেও চা-কফি বা কার্বনেটেড পানীয় এর মধ্যে রাখা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

বেছে নিতে হবে সঠিক পোশাক

এ বিষয়টি আসলে আমরা সেভাবে আমলে নিই না। দিনে ঘরের কাজকর্ম করতে আর বিশেষ করে বাইরে যেতে পোশাক নির্বাচনের বেলায় খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়। শার্ট, টি-শার্ট বা কামিজের রং, বটমের ফেব্রিক আর কত স্তরের লেয়ারিং করা হয়েছে পোশাকে—এই সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ এ ক্ষেত্রে। উদ্দেশ্য হবে শরীরের তাপমান যথাসাধ্য কম রাখা। অফিসের ভেতরে কাজ করতে হালকা রঙের পোশাক বেছে নিতে হবে। তবে সাধারণভাবে উল্টোটা মনে হলেও বাইরে কাজ করতে গাঢ় রঙের ক্যাপ বা টপ পরলে আরাম বোধ হবে। তবে বিকিরিত তাপ শুষে নেয় বলে কালো পরা যাবে না। অবশ্য সেদিক থেকে কালো ছাতা কার্যকর। সুতির ও ঢিলেঢালা পোশাক পরলে ভালো।

ঠান্ডা পানিতে শাওয়ার নেওয়া

ঠান্ডা পানিতে শাওয়ার নিলে শরীর শীতল হবে অনায়াসে। মাথায় ৫-১০ মিনিট ধরে ঠান্ডা পানির ধারা দিলে আরাম হবে অনেকটা। তবে খুব গরম আবহাওয়ায় বাইরে থেকে এসে সরাসরি ঠান্ডা পানির শাওয়ার নেওয়া যাবে না, এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানিও ক্ষতিকর। গোসল করা সম্ভব না হলে ঠান্ডা পানিতে তোয়ালে নিংড়ে মুছে নিতে হবে মুখমণ্ডল, মাথা, কান, ঘাড় ও গলা। মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলেও আরাম লাগবে।

উপযুক্ত খাবার গ্রহণ

আমাদের সারা দিনের খাদ্যতালিকা শরীরে পানিশূন্যতা রুখতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় থাকেই ইফতার ও সাহ্‌রিতে। এটি এ ক্ষেত্রে বেশ ক্ষতিকর। বরং রসাল ও মিষ্টি ফল রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। শুধু ভাজাপোড়া আর ভারী খাবার না খেয়ে কাঁচা সবজির সালাদ, স্যুপ, দই ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। লবণাক্ত স্ন্যাকস ও অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ করলেও শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।

সূত্র: হেলথলাইন, ভেরিওয়েলফিট, হার্ভার্ড হেলথ

ছবি: পেকজেলসডটকম ও সোলাস্তা

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন