ভুট্টা পৃথিবীজুড়ে সুপরিচিত একটি শস্য। পপকর্ন ছাড়া তো সিনেমাই জমে না। পপকর্ন আর সুইট কর্ন সবচেয়ে জনপ্রিয় হলেও ভুট্টা আরও বেশ কিছুভাবে প্রসেস করে খাওয়া যায়। চিপস, স্যুপ, কর্নমিল, কর্নফ্লাওয়ার ও কর্ন অয়েল পাওয়া যায় বিভিন্ন বিপণিবিতানে। এগুলোর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক।
ভিটামিন ও খনিজ
ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর ভুট্টা। তবে পরিমাণ নির্ভর করে ভুট্টার ধরনের ওপর। পপকর্নে থাকে জরুরি সব খনিজ উপাদান আর সুইট কর্নে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন। পপকর্নে ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, কপারের মতো অত্যাবশ্যকীয় খনিজ উপাদানগুলো থাকে। সুইট কর্নে থাকে ভিটামিন বি৬, নিয়াসিন ও পটাশিয়াম। ভিটামিনগুলো শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ভুট্টায় থাকায় পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট
ভুট্টায় থাকা লুটেইন ও জিয়াজিন্থিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট দুটি চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই অ্যান্টি–অক্সিডেন্টগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এগুলো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
শর্করা ও ফাইবার
অন্যান্য শস্যদানাজাতীয় খাবারের মতো ভুট্টায় পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট থাকে। এই কার্বস দ্রুত শরীরে শোষিত হয়ে যায়। সুইট কর্নে অবশ্য শর্করার তুলনায় সুক্রোজ চিনি বেশি থাকে।
ভুট্টায় থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে যেসব উপাদান সক্রিয় করে, এরাই প্রোবায়োটিক হিসেবে পরিচিত। সহজ কথায়, ভুট্টার ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায় ও অন্ত্রকে ভালো রাখে।
ভুট্টার তেল
কর্ন অয়েল বা ভুট্টার তেল হার্টের জন্য উপকারী। ২০১৮ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, নারকেল তেলের চেয়ে ভুট্টার তেল বেশি স্বাস্থ্যকর। যাঁদের কোলেস্টেরল লেভেল বেশি তাঁরা যদি রোজ ৪ টেবিল চামচ ভুট্টার তেল ভোজ্যতেল হিসেবে গ্রহণ করেন, তাঁদের কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্র: হেলথলাইন