মধ্যরাতে ক্ষুধা পেলে খেতে পারেন ২০০ ক্যালরির নিচে এই ৬ স্ন্যাকস
শেয়ার করুন
ফলো করুন

রাত জেগে পড়তে, কাজ করতে বা প্রিয় সিরিজ দেখতে গিয়ে যখন মধ্যরাতে ক্ষুধা পায়, তখন প্রায় সময় আমরা চিপস, চকলেট, চানাচুর বা ফ্রিজে রাখা কেক, আইসক্রিম এমনকি বেঁচে যাওয়া ভারী খাবার খেয়ে ফেলি। এখন রাতভর খাবার ডেলিভারি চলে নগরীতে। উৎসবের দিন এসেছে আবার। ক্ষুধার মুখে পূজার নাড়ু-মিষ্টি বেশি খেলে শরীরে বাড়তি ওজন যোগ হতে সময় লাগবে না।

আর মধ্যরাতে সাধারণত ডায়েটের চিটমিল বা ঝোঁকের মাথায় এলোমেলো খেয়ে বারোটা বাজে দিনের নির্ধারিত ক্যালরি কাউন্টের। সারা দিনের ডায়েট অনুসরণ করে খাওয়া বৃথা যায় এভাবে। তাই রাত জাগলে আগে থেকে এসব স্ন্যাকস হাতের কাছে থাকলে এমন দুর্বিপাকে পড়তে হবে না।

বিজ্ঞাপন

সিরিয়াল

প্রক্রিয়াজাত হলেও এটি তেমন অস্বাস্থ্যকর নয়। তবে বাক্সের লেবেল দেখে বেছে নিতে হবে বুঝেশুনে। তাহলে এটি একটি কম ক্যালরির স্ন্যাক হিসেবে খুবই ভালো হতে পারে। কর্নফ্লেক্স, ওট ব্র্যান ইত্যাদি হোলগ্রেইন সিরিয়াল ওজন বাড়াবে না। সঙ্গে আমন্ডের দুধ, ননিমুক্ত দুধ বা টকদই দিয়ে খাওয়া যায়। এই স্ন্যাক খেলে বেশ পেট ভরে আর সন্তুষ্টি মেলে। সঙ্গে ফলও যোগ করা যায়। আর চিনি ছাড়া ননিমুক্ত দুধ দিয়ে এক কাপ এমন সিরিয়ালে মাত্র ১১০ ক্যালরি যোগ হয়।


পিনাট বাটার ও কলা

পিনাট বাটার বা চিনাবাদামের মাখন খেতে যেমন মজা তেমনি ভরপুর প্রয়োজনীয় প্রোটিনে। আবার কলায় আছে পর্যাপ্ত আঁশ ও ভিটামিন। এ দুটি খাবার মিলিয়ে খেলে স্বাদে তা কেক বা আইসক্রিমকে হার মানায়। মাঝারি সাইজের কলা লম্বায় দুই ভাগ করে এক টেবিল চামচ পিনাট বাটার দিয়ে খেলে ২০০ ক্যালরি যোগ হবে দেহে।

বিজ্ঞাপন

দই

দই অত্যন্ত পুষ্টিকর ও কম ক্যালরির স্ন্যাক। এতে বাড়তি পাওনা হিসেবে মিলবে প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে, হজমে সহায়তা করে, শরীরকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দেয়। আবার প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম প্রচুর আছে দইয়ে। একটু কাটা ফলের কুচি, ড্রাইড ফ্রুটস, বাদাম বা গ্রানোলা ছড়িয়ে নেওয়া যায় ওপরে। এর চেয়ে মজার মিডনাইট স্ন্যাক আর হয় না। এদিকে ২০০ ক্যালরির বেশি যোগ হয় না এতে।


ডিম

ডিম খেলে পুষ্টি তো মিলবেই, পাওয়া যাবে রাত জেগে কাজ করার শক্তি। ডিম যে কতভাবে খাওয়া যায়, সেটা কেউ গুনে শেষ করতে পারবে না। সেদ্ধ বা পানি পোচে বাড়তি তেল নেই বলে বেশি ভালো। একটি ঠিকঠাক সাইজের ডিমে ৭০ ক্যালরি থাকে।

ক্র্যাকার দিয়ে পনির বা ছানা

অল্প একটু লো ফ্যাট চিজ, মোজারেল্লা, ক্রিমচিজ, ঢাকাই পনির বা ছানা দিয়ে ক্র্যাকার খাওয়া যায় এ সময়।  ক্র্যাকারটি হোলগ্রেইন আর চিনিমুক্ত হতে হবে। এখন বাজারে ওট দিয়ে বানানো ক্র্যাকার পাওয়া যায়। লাল আটার পাউরুটি পাতলা করে কেটে একেবারে মচমচে করে টোস্ট করে নেওয়া যায় ক্র্যাকারের বিকল্প হিসেবে।


পপকর্ন

হোলগ্রেইন স্ন্যাকসের মধ্যে পপকর্ন খেতে যেমন মজা, তেমন স্বাস্থ্যকর। ভুট্টার দানার পুষ্টি একদিকে যেমন কর্মশক্তি জোগায়, তেমনি তাতে ক্যালরি খুব কম। বিশ্বের নামীদামি তারকারা স্ন্যাকস হিসেবে পপকর্ন খেয়ে থাকেন। এতে আঁশ থাকে প্রচুর। আর খেলা, মুভি বা সিরিজ দেখতে দেখতে মচমচে পপকর্ন খাওয়ার মজাই আলাদা। এক কাপ পপকর্ন খেলে যোগ হবে মাত্র ৩০ ক্যালরি। তবে তা যেন অতিপ্রক্রিয়াজাত বা লবণাক্ত ফ্লেভার ও ফ্যাটে ভরা না থাকে।

ছবি: পেকজেলস ডট কম

তথ্যসূত্র: ভেরি ওয়েল ফিট

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ০৩
বিজ্ঞাপন