বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের প্রথম অটোমোটিভ ডিজাইন কর্মশালা। বাংলাদেশি স্টার্টআপ জেনো ইভি দেশের প্রথম গ্র্যান্ড ট্যুরিং ইভি ডিজাইন কর্মশালাটি আয়োজন করে। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন জেনো ইভির প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম হোসেন। বর্তমানে তিনি ইতালির তুরিন প্রতিষ্ঠানে একজন পেশাদার অটোমোটিভ কার ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি জেটএক্স ইউএস এবং টাইটান এয়ার মোবিলিটির জন্য কয়েকটি এয়ারক্রাফ্ট ডিজাইনের কাজে নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া তিনি চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চিজেট মোটরসে বেশ কিছুদিন কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার ছিল কর্মশালার প্রথম আয়োজন। পরিবহন নকশায় ইতালীয় পদ্ধতির পাশাপাশি বর্তমান ইলেকট্রিক ভেহিকেলের (ইভি) বাজার, এর সম্ভাবনা এবং এ দেশে তৈরি নকশা কীভাবে বৈশ্বিক বাজারে পৌঁছাতে পারে—এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় কর্মশালায়। তা ছাড়া ইভি পরিবহনের ওপর বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা এবং প্রস্তাবিত সহায়তার বিষয় নিয়েও কর্মশালায় আলোচনা করা হয়।
কর্মশালাটি নিয়ে আইসিটি ডিভিশন-এটুআইয়ের হেড অব কমার্শিয়াল স্ট্রাটেজি, রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, সরকার বর্তমানে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে বিভিন্ন পলিসি তৈরি করছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৩৬ লাখ ইভি রয়েছে। সরকার এই বাহনগুলোর ওপর নানা ক্ষেত্রে কর মওকুফের পরিকল্পনা করছেন।
জেনো ইভির চেয়ারম্যান এ এম ইশতিয়াক সারওয়ার বলেন, বাংলাদেশে ইভির মার্কেট দিন দিন বড় হচ্ছে এবং দেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের নিজস্ব ইভি বাজারজাত করছে। ইভি সেক্টরে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ ধরনের কর্মশালা আধুনিক যানবাহন তৈরিতে ও দেশীয় যানবাহনের নকশায় বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে।
জেনো ইভির কো ফাউন্ডার মাসরুর হান্নান বলেন, এই কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো দেশে জিটি ডিজাইনারদের একটি কমিউনিটি গঠন করা। ভবিষ্যতে এই সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহীদের নিয়ে তিনি আরও কর্মশালা আয়োজনের ইচ্ছা পোষণ করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী চার্জিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আলিম আল রাজি জানান যে দেশে ইভি নিয়ে কাজ করে তাঁরা সাধারণত তাঁদের জ্ঞান শেয়ার করতে চায় না। জেনো ইভি এই সেক্টরে একটি কমিউনিটি তৈরি করার জন্য এগিয়ে এসেছে এর জন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। কর্মশালায় আরেক অংশগ্রহণকারী বুয়েট অটোমোবাইল ক্লাবের টেকনিক্যাল চিফ, সাহিব উর রউফ বলেন, বাংলাদেশের অটোমোবাইল সেক্টরে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে এবং তাদের ক্লাব জেনো ইভির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
এ কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য ২০০ জনের বেশি আগ্রহী নিবন্ধন করেন, এর মধ্যে ৫০ জনকে কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়। সাপ্তাহব্যাপী এ কর্মশালায় আজকে আয়োজক হিসেবে ছিলেন জেনো ইভি ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, সহযোগিতায় ছিল জাদু পিসি।
ছবি: বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক