কালোজাদু বড় ভয়ংকর জিনিস৷ আর এ নিয়েই কারবার ঘোর কৃষ্ণবর্ণ বসনের সাজে নিজেকে সাজানো ডাকিনীর। মাথা থেকে পা পর্যন্ত কালোর ছায়া এই ভূতসুন্দরীর।এদিকে সাজগোজ আর গয়নাও তার খুব প্রিয়। প্রচলিত ভাষায় ডাইনীও বলা চলে তাকে৷ জাদুমন্ত্রবলে যে কাউকে নিজের বশে আনতে পারে ডাকিনী। ডাকিনীর কোপানলে একবার পড়লে কিন্তু আর রক্ষে নেই। এরা অনেকেই ছদ্মবেশী মানবী রূপে মিশে থাকে মানুষের সঙ্গে। নিঝুম রাতে নিজ বেশে ধরা দেয় ডাকিনী হতভাগ্য কারো কারো কাছে। কুচকুচে ঘন কালো চোখের দৃষ্টিতে তার ঘোর অমানিশার ছায়া। শয়তানি যোগ, ধ্যান আর জাদুর তন্ত্রমন্ত্রের মাঝে ডুবে থাকা এই পিশাচিনীর নজর যার ওপরে পড়ে, তার সর্বনাশ হয়ে যায়। আর ডাইনীর এই অলৌকিক ক্ষমতার জন্য অন্য কারো অনিষ্ট করতে, প্রতিশোধ নিতে অনেকেই তার শরণাপন্ন হয়। কিন্তু সেটি আসলে হয় তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। কারণ প্রায়ই তারা নিজেরাই তার ডাকিনীপনার শিকার হয়ে যায়। আর সে পরিণতি হয় ভয়াবহ। তিলে তিলে শেষ করতে পছন্দ করে ডাইনী তার ভিকটিমকে। আর এমনিতে অন্যান্য ভূতসুন্দরীদের তুলনায় একটু গুরুগম্ভীর হলেও মাঝে মাঝে আপন মনে হাসিতে ফেটে পড়ে ডাকিনী। হয়তো তার শিকারের করুণ পরিণতির কথা ভেবেই। দীঘল কেশরাজিতে হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকা এই পিশাচিনীর কালোজাদুর নেশা জড়িয়ে থাকে৷ ধারালো কালো নখে যে কাউকে ছিড়ে ফেলতে পারে সে এক নিমিষেই। গথিক সাজে মন ভোলালেও ডাকিনীর ধারে কাছেও যাবেন না যেন কেউ।
ফটোগ্রাফি: অনিক মজুমদার
লাইটস: শুভ্রদেব হালদার
রূপ ও কেশসজ্জা: আব্রাহাম আহাম্মেদ অপু
লোকেশন: দোতলা ( ফ্যাশনের সুপরিচিত যৌথ উদ্যোগ)
নেকপিস: পোশাক বাই তান্নাস
বালা: চিত্রাঙ্গনা
মডেল: জেরিন
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: দোতলাবাসী