অনেকেই চাকরি করেন না, পকেটে টাকাও থাকে না। মায়ের জন্য তেমন দামি কিছু কেনার সামর্থ্য নেই। তাঁদের মাকে দেওয়ার জন্য ফুল হতে পারে সুন্দর একটি উপহার।
হাতে তৈরি কার্ড: মা দিবসে মাকে উপহার দিতে পারেন হাতে তৈরি কার্ডও। কার্ডে মা ও নিজের ছবি সংযোজন করতে পারেন। লিখতে পারেন মাকে মনের কথাও।
বই পড়ার শখ অনেক মায়েরই আছে। আপনার মায়েরও যদি এমন শখ থাকে, তাহলে মায়ের পছন্দের লেখকের নাম জানুন। এরপর তাঁর পছন্দের তালিকা ধরে বই কিনে তাঁকে চমকে দিন।
গৃহিণী মায়েদের দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। সন্তানসহ ঘরের প্রত্যেক মানুষের আহারের দিকটি খুব দায়িত্বের সঙ্গে খেয়াল রাখেন মা। নিজে খাওয়ার চেয়ে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে খাইয়ে তিনি বেশি আনন্দ পান। তাই রান্নার কাজে সাহায্য হয়, এমন কোনো সরঞ্জাম উপহার তাঁর জন্য শুধু চমকপ্রদই হবে না, নিজের পছন্দের রান্নার কাজটি তিনি করতে পারবেন আরও বেশি আনন্দের সঙ্গে। রাইস কুকার, ওভেন, ব্লেন্ডারের মতো কিচেন গ্যাজেট রান্নাঘরের কাজগুলো আরও সহজ করে দেয়।
বাঙালি মায়েদের সবচেয়ে পছন্দের পোশাক নিঃসন্দেহে শাড়ি। শাড়ি পেলে খুশি হবেন না, এমন মা হয়তো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই মাকে এমন একটি শাড়ি কিনে দিন, যেটি তাঁর খুব বেশি পছন্দ বা শখের। শাড়ির রং বা ম্যাটেরিয়াল যেন মায়ের পছন্দসই হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মায়েরা পরিবারের সদস্যদের যত্ন নিতে গিয়ে নিজের কথা ভুলে যান। নিজের যত্ন নেন না বললে চলে। তাই মা দিবসে স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট উপহার দিতে পারেন। এ ছাড়া পার্লারের গিফট ভাউচার বা একটি স্পা প্যাক উপহার দিতে পারেন।
মা দিবসে মাকে একটু বিরতি দিন। তাঁর জন্য নিজেই রান্না করে ফেলুন। সেদিন সকাল থেকে রান্নাঘরের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়ে নিন। মায়ের পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে তাঁকে অবাক করে দিন। যদিও প্রতিটি দিন মায়েদেরই দিন, তারপরও মা দিবসে মায়ের জন্য করে ফেলুন বিশেষ কিছু। কারণ, মায়ের মুখের হাসিই সন্তানদের কাছে শ্রেষ্ঠ উপহার।
ছবি : পেকজেলসডটকম