সাধারণত ফাল্গুন-চৈত্র মাসেই হয় দোল উৎসব। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় পূজাও হয়। দোলপূর্ণিমা হিন্দুধর্মের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশে উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’, ‘দোলপূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।
দোলপূর্ণিমা বা দোলযাত্রা সনাতন ধর্মানুসারীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। রঙের উত্সব দোল ও হোলি যতটা ধর্মীয়, ততটাই সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উত্সব। দোল ভ্রাতৃত্ব ও প্রেমের উত্সব।
দোলযাত্রা ও দোলপূর্ণিমায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোমযজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
দোলপূর্ণিমা, যা দোলযাত্রা, দৌল উৎসব বা দেউল নামেও পরিচিত; ব্রজ অঞ্চল, রাজস্থান, গুজরাট, ওডিশা, আসাম, ত্রিপুরা ও বঙ্গ অঞ্চলের হোলি উৎসবের সময় উদ্যাপিত একটি হিন্দু দোল উৎসব।
বাংলার বসন্ত উৎসব বা দোলযাত্রা ভগবান রাধা-কৃষ্ণের প্রেমকেন্দ্রিক। দোলযাত্রা বৈষ্ণবদের উৎসব।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তাঁর সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোলের উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগরকীর্তনে বের হন।
এ সময় তাঁরা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে রং বা ‘আবির’। দোল উৎসবের সূচনা হয় দোলের আগের দিন নেড়া পোড়ানোর মধ্য দিয়ে।
লেখা ও ছবি: কমল দাশ, চট্টগ্রাম