
যোরাইয়া টার বিক। নেদারল্যান্ডসের এই ২৮ বছর বয়সী নারী সারা জীবন যুদ্ধ করেছেন মানসিক রোগের সঙ্গে। অটিজম, ডিপ্রেশন আর বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগেছেন তিনি বহু বছর। তার ডিপ্রেশনের মাত্রা রীতিমতো চরমে। আবার বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার থাকার কারণে যোরাইয়ার তার নিজের আবেগ ও তার প্রকাশের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

এতে তিনি নিজে ও তাঁর আপনজনেরা সবসময় নানা রকমের ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকেন। তাই তো শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা স্বত্বেও এই মানসিক কষ্ট এই তরুণীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সঙ্গী ও দুটি পোষা বেড়ালের ভালোবাসাও তাঁকে দুনিয়ার মায়ায় বেঁধে রাখতে পারছে না।
চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা যখন যোরাইয়াকে বলে দিলেন যে তাঁর মানসিক যন্ত্রণা উপশম করা আর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর জন্য সম্ভাব্য আর কিছুই করার নেই, তখন তিনি ইচ্ছামৃত্যুর কথা ভাবলেন। নিজেই মনোবিদ হতে চেয়েছিলেন যোরাইয়া৷ আর এখন এই ২০২৪ এর মে মাসে তিনি ইউথানাইজড হওয়ার শিডিউল ঠিক করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে। জানা যায়, ইচ্ছামৃত্যুর স্থান, কে সঙ্গে থাকবেন ইত্যাদি ঠিক করে ফেলেছেন এই ডাচ তরুণী। সঙ্গীকে বলেছেন শবদাহের পর সেই ভস্ম কোথাও বাতাসে ছড়িয়ে দিতে।

উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডসে গুরুতর শারীরিক সমস্যা,দুরারোগ্য ব্যধির কারণে ইচ্ছামৃত্যু বা ইউথানেসিয়া বেছে নেওয়া যায় আইনসম্মতভাবে। তবে মানসিক সমস্যার কারণে এমন মৃত্যু বেড়ে গেছে এখন। এদিকে, ২০২২ সালের এক হিসাব বলছে, আট হাজারের বেশি ইচ্ছামৃত্যু ঘটেছে সে বছর নেদারল্যান্ডসে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এবিপি লাইভ, দ্য ফ্রি প্রেস
ছবি: এক্স ও ইন্সটাগ্রাম