প্রাক্তনের কাছে ফিরতে চান? আগে নিজেকে করুন এই ৫টি প্রশ্ন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

যে মানুষের হাত ধরে একসময় স্বপ্ন দেখেছেন বহু পথ পাড়ি দেওয়ার, যাঁকে নিয়ে থাকতে চেয়েছেন সুখে–দুঃখে, সেই মানুষই যখন একসময় অচেনা হয়ে যান, তখন যেন ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাঁকে ভুলে যখন সামনের জীবনের পথটুকু পাড়ি দেবেন বলে সব গোছাচ্ছিলেন, ঠিক সে সময়ই তিনি আবার ফিরে এসেছেন নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে। কী করবেন তখন? সব ভুলে ফিরে যাবেন তাঁর কাছে? নাকি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, সেভাবেই যাবেন? যদি তাঁর কাছে ফিরতেই চান, তাহলে নিজের কাছে নিজেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করুন। এতে আপনিও বুঝতে পারবেন যে আসলেই প্রাক্তনের কাছে ফেরাটা ঠিক হবে কি না।

আপনার ক্ষেত্রে কোন কারণের জন্য আলাদা হতে হয়েছিল?
আপনার ক্ষেত্রে কোন কারণের জন্য আলাদা হতে হয়েছিল?

১. প্রাক্তনের কাছ থেকে কেন সরে এসেছিলেন?

কেন দুজনের পথ দুদিকে সরে গিয়েছিল, সে উত্তর খোঁজার জন্য খুব বেশি গভীরে যাওয়ার দরকার নেই। বিষয়টিকে দুই ভাগে ভাগ করে নিলেই বোঝা যায়। অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী কারণ। অন্তর্মুখী বা ইন্টার্নাল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অবিশ্বাস, অনাগ্রহ ও বিশ্বাসহীনতা। আর বহির্মুখী বা এক্সটার্নাল কারণের মধ্যে রয়েছে পরিবারের মেনে না নেওয়া, দূরত্ব অথবা একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরির জন্য একে অপরকে যথেষ্ট সময় না দেওয়া। আপনার ক্ষেত্রে কোন কারণের জন্য আলাদা হতে হয়েছিল? ফিরে গেলে হয়তো আবার কারণগুলোর মুখোমুখি হতে হবে। সে জন্য কি আপনি প্রস্তুত?

বিজ্ঞাপন

২. প্রাক্তনের সঙ্গে কি আপনার বারবার দেখা হয়?

যদি প্রাক্তনের সঙ্গে আপনার দূরত্ব বেশি না হয়ে থাকে, তাহলে জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। যদি একই বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস বা কোনো অনুষ্ঠানে বারবার আপনাদের দেখা হয়, তাহলে তাঁর কথা বারবার মনে পড়বেই।

যদি বারবার আপনাদের দেখা হয়, তাহলে তাঁর কথা মনে পড়বেই
যদি বারবার আপনাদের দেখা হয়, তাহলে তাঁর কথা মনে পড়বেই

তাই সেমিস্টার ড্রপ দিয়ে বা অফিস বদল করেও যদি দূরত্ব বাড়ানো যায়, তাহলে সেটাই করুন।

বিজ্ঞাপন

৩. অতীত নিয়ে কি আপনি বেশি ভাবেন?

স্মৃতি আমাদের বারবার দুর্বল করে দেয়। কোনো সম্পর্ক থেকে বের হয়ে এলে কিছুদিন তার রেশ থেকে যায়। খারাপ কিছু মনে পড়ে না, বরং ভালো মুহূর্তগুলোই ঘুরেফিরে মনে আসে। তার মানে এই নয় যে সম্পর্ক থেকে কোনো কারণ ছাড়াই বের হয়ে এসেছেন।

নিশ্চয়ই এমন কোনো কারণ ছিল, যা আপনাদের আলাদা হতে বাধ্য করেছে
নিশ্চয়ই এমন কোনো কারণ ছিল, যা আপনাদের আলাদা হতে বাধ্য করেছে

নিশ্চয়ই এমন কোনো কারণ ছিল, যা আপনাদের আলাদা হতে বাধ্য করেছে। যে কষ্ট আপনি তখন পেয়েছেন, সেই একই কষ্ট আবার পেলে কী করবেন? মেনে নিতে পারবেন পরিস্থিতি? প্রাক্তনের কাছে ফেরার আগে অন্তত একবার নিজেকে এ প্রশ্ন করে দেখুন!

৪. সঙ্গীকে মনে পড়ছে নাকি শুধু মুহূর্তগুলো?

পছন্দের মানুষের সঙ্গে থাকা অবশ্যই আনন্দের। তবে সম্পর্ক না থাকলেও যখন তাঁর কথা ভাবছেন, তখন কি আসলে তাঁকেই ভাবছেন নাকি তাঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো? যদি পরেরটি হয়, তাহলে কি সেই সব মুহূর্ত অন্য কারও সঙ্গে তৈরি করা সম্ভব নয়?

ফিরে গেলে যে ভালো মুহূর্ত তৈরি হবে, সেটারই বা নিশ্চয়তা কী?
ফিরে গেলে যে ভালো মুহূর্ত তৈরি হবে, সেটারই বা নিশ্চয়তা কী?

আর যদি শুধু তাঁকে নিয়েই ভাবেন, তাহলে কেন ভাবছেন? দুজন মিলে যা ধরে রাখতে পারেননি, সেটা আবার সামনেও হোক, এমনটা কি চান? ফিরে গেলে যে ভালো মুহূর্ত তৈরি হবে, সেটারই বা নিশ্চয়তা কী?

৫. সত্যিই কি আপনার প্রাক্তন বদলে গিয়েছেন?

সম্পর্কে থাকাকালে যে মানুষ খুবই টক্সিক ছিলেন, আপনাকে ভুল বুঝতেন, সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতেন না, সেই মানুষ কি এখন আদৌ বদলে গিয়েছেন? যদি ফিরে যাওয়ার পর তিনি আগের মতোই আচরণ করেন, তাহলে কীভাবে সামলাবেন আপনি? নাকি ভাবছেন, সময় গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে?

যদি ফিরে যাওয়ার পর তিনি আগের মতোই আচরণ করেন, তাহলে কীভাবে সামলাবেন আপনি?
যদি ফিরে যাওয়ার পর তিনি আগের মতোই আচরণ করেন, তাহলে কীভাবে সামলাবেন আপনি?

যদি একবার একটি কষ্টদায়ক সম্পর্ক আপনি পার করে এসে থাকেন, তাহলে বুঝে নিন যে পরবর্তী সময়েও তাতে তেমন বদল আসবে না। খুব কম মানুষই আছেন, যাঁরা নিজেদের বদলাতে পারেন। তাই ফেরার আগে একবার ভেবে নিন, পুরোনো সম্পর্কে আবার জড়াবেন কি না। যদি মন থেকে উত্তরটি না–বোধক হয়, তাহলে ফেরার পথ বন্ধ করে দেওয়াটাই ভালো হবে।

সূত্র: থট ক্যাটালগ

ছবি: পেকজেলস ডট কম

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন