জাপানে দম্পতিরা ঘুমান আলাদা বিছানায়, কারণ জানেন কি?
শেয়ার করুন
ফলো করুন

জাপানের বড় শহরগুলোতে বেশির ভাগ দম্পতির দৈনন্দিন কাজের সময়সূচি আলাদা। কোনো একজন সকালবেলা অফিসের জন্য বের হয়ে যান, অন্যজন হয়তো রাতে দেরিতে ফেরেন। ফলে একই বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে বিঘ্ন ঘটে। তাই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ এবং মনোমালিন্য ছাড়াই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আলাদা ঘুমের এই সিদ্ধান্ত। এটি একটি বাস্তবসম্মত সমাধান, যা সম্পর্কের নমনীয়তা ও যত্নের প্রতিফলন।

এতে ঘুম ভালো হয় এবং সম্পর্কও স্থিতিশীল থাকে
এতে ঘুম ভালো হয় এবং সম্পর্কও স্থিতিশীল থাকে

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টোকিওর কনডোমিনিয়ামে বসবাসকারী বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে প্রায় ২৬ শতাংশ আলাদা বিছানায় ঘুমান এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সেই হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। আরেক গবেষণা প্রতিবেদনে একই পরিসংখ্যান পাওয়া যায় ২৬ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দম্পতিরা এই ব্যবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে নেন।

বিজ্ঞাপন

জাপানে ঘুমকে ‘পুনর্জীবনীশক্তির উৎস’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিরক্তিকর শব্দ, ঘুমানো অবস্থায় নাক ডাকা কিংবা নড়াচড়া সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। আলাদা বিছানায় ঘুমালে এসব সমস্যা থেকে অনেকখানি পরিত্রাণ পাওয়া যায়। এতে ঘুম ভালো হয় এবং সম্পর্কও স্থিতিশীল থাকে। বিবাহবিচ্ছেদের হার জাপানে তুলনামূলক কম।
জাপানের বিবাহবিচ্ছেদের হার অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। প্রতি ১ হাজার জনে আনুমানিক ১ দশমিক ৭ থেকে ১ দশমিক ৮ বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে থাকে। ২০০০ এর দশকে এই হার প্রায় ২ দশমিক ১০ হয়েছিল; যদিও পরবর্তী সময়ে এটি প্রায় স্থিতিশীল (১ দশমিক ৭ শতাংশ) হয়ে আসে।

স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ এবং মনোমালিন্য ছাড়াই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আলাদা ঘুমের এই সিদ্ধান্ত
স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ এবং মনোমালিন্য ছাড়াই বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আলাদা ঘুমের এই সিদ্ধান্ত

এটি প্রমাণ করে, আলাদা শয়নবিন্যাস সম্পর্ককে দুর্বল করে না বরং ভালো ঘুম ও পারস্পরিক সম্মানের মাধ্যমে সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। জাপানে দম্পতিরা আলাদা রুমে বা বিছানায় ঘুমান এটি তাঁদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মানসম্মত বিশ্রাম এবং সম্পর্কের সুস্থতার বহিঃপ্রকাশ। এ ব্যাপারটি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং সংস্কৃতিগত দৃষ্টিকোণ থেকেও সমর্থনযোগ্য।

ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন