এই ৬টি অভ্যাস ধরে রাখতে পারলে কেউ আপনার কাম ব্যাক করা ঠেকাতে পারবে না
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সফলতা অর্জন যেমন একটি সাধনার বিষয়, এটি ধরে রাখাও সাধনার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সফলতা অর্জনের পর সেটিকে দীর্ঘস্থায়ী করা অনেক জরুরী। সেখানে ধৈর্য, পরিকল্পনা, ও নিয়মিত চর্চার প্রয়োজন হয়। আশেপাশে তাকালেই দেখবেন অনেকেই সঠিক অভ্যাসের অভাবে অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে পারেন না। আবার এমন কিছু অভ্যাস ধরে রাখতে পারলে আপনি নতুন করে পাবেন টেকসই সাফল্য, যাকে বলে জীবনের পথে কাম ব্যাক করা। সফলতা টিকিয়ে রাখতে হলে নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন, যা শুধু পেশাগত জীবনে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সবসময় নতুন স্কিল ডেভেলপ করতে হবে
সবসময় নতুন স্কিল ডেভেলপ করতে হবে

১. প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখুন

এটিই কিন্তু সফলতা ধরে রাখার মূলমন্ত্র। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানা ও শেখা। আপনি সময়ের সঙ্গে নিজের জানার পরিধি যত বাড়াতে থাকবেন, জীবনে তত এগিয়ে যেতে পারবেন। বেশিরভাগ সফল ব্যক্তিই এই নিয়মটি মেনে চলেন। দেখবেন তাঁরা কখনো কোনো নতুন বই পড়ছেন, কখনো নতুন কোনো কোর্সে ভর্তি হচ্ছেন। শেখা ও জানার প্রক্রিয়াকে তাঁরা কখনোই বন্ধ করে দেন না। তাই জীবনে কাম ব্যাক চাইলে নিজেকে সবসময় এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে।

নিয়মমতো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
নিয়মমতো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

২. নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন

সফলতা চাইলে নিষ্ঠা সহকারে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু ব্যক্তিগত শৃঙ্খলাই নিশ্চিত করে না, বরং কর্মজীবনেও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজ করা, পরিকল্পনা অনুযায়ী চলা এবং দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোর প্রতি সচেতন থাকা একজন ব্যক্তিকে তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। সময়মতো ঘুম, ব্যায়াম, কাজের পরিকল্পনা করা এবং প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করে তা অনুসরণ করাই সাফল্য পাওয়ার মূল চাবিকাঠি।

বিজ্ঞাপন

৩.যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনে মনোযোগী হওয়া

নাটকীয় রকমের সফল ব্যক্তিদের দিকে তাকালে যে ব্যাপারটি চোখে পড়বে তা হলো তাঁদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং। তাঁরা সবসময় এই ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেন। পুরোনো সম্পর্কগুলোকে মজবুত রাখার পাশাপাশি নতুন সম্পর্ক স্থাপনের দিকেও খেয়াল রাখেন। এই অভ্যাস তাঁদের পেশাগত জীবনে নিত্যনতুন সুযোগ এনে দেয়। তাই সব সময় নেটওয়ার্কিংয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নেটওয়ার্কিংয়ের বিকল্প নেই
নেটওয়ার্কিংয়ের বিকল্প নেই

৪. স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার দিকে খেয়াল রাখুন

সফল হতে হলে সুস্থ শরীর ও সতেজ মন অপরিহার্য। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যা কর্মদক্ষতা ও সাফল্যকে ব্যাহত করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুস্থ দেহমনে কাজের প্রতি একাগ্রতা ও উদ্যম বাড়ে, যা একসময় বড় সাফল্য পেতে সহায়তা করে।

বিজ্ঞাপন

৫. নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে নজর রাখুন

সাফল্যের সঙ্গে আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সঠিক অর্থব্যবস্থাপনার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। উপার্জন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও বিনিয়োগ করাও প্রয়োজন। অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের দিকে মনোযোগ দেওয়া বেশ জরুরি। বাজেট পরিকল্পনা ও ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুললে দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক নিরাপত্তা বজায় থাকে।

সঠিক পরিকল্পনা করুন
সঠিক পরিকল্পনা করুন

৬. সব অবস্থায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে শিখুন

জীবন সব সময় একই রকম থাকে না; পরিবর্তন আসবেই। সফল হতে হলে এবং সেই সফলতা ধরে রাখতে হলে পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। নতুন দক্ষতা অর্জন, পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে বদলানো এবং চ্যালেঞ্জকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, তাঁরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সফলতার পথে বড়সড় কামব্যাক করতে সক্ষম হন।

সূত্র: থট ক্যাটালগ

ছবি: পেকজেলস ডট কম

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১: ৪০
বিজ্ঞাপন