গাজা অভিমুখে জীবন বাজি রাখা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রী কে এই মানবাধিকার কর্মী রুহি আখতার (ভিডিও)
শেয়ার করুন
ফলো করুন

'বিরিয়ানি অ্যান্ড বানানাস' নামেই পরিচিত রুহি আখতারের সংস্থাটি। শরণার্থী আর দুস্থদের মাঝে খাদ্য-ত্রাণ বিতরণ করার প্রাথমিক ধারণা থেকেই এই মানবিক সহায়তা সংস্থা এই 'রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস' (আরবিবি)  প্রতিষ্ঠা করেছেন রুহি লরেন আখতার। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী এখন গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অকুতোভয় সহযাত্রীদের একজন।

সারা বিশ্বের মানুষের নজর এখন এই নৌকার বহরের দিকে। গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন রুহিরা। যাত্রা শুরু করা ৪০টি জাহাজের মাঝে এখন মাত্র ২৪টিই যাচ্ছে গাজা অভিমুখে। বাকি জাহাজগুলো পড়েছে ইসরায়েল নেভির কবলে। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। কী আছে তাঁদের কপালে কেউ জানে না। তবু রুহিসহ ফ্লোটিলার সহযাত্রীদের মাঝে ভয়ের লেশ নেই। তাঁরা মানবতার বার্তা নিয়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর। রুহির জন্য বাংলাদেশি হিসেবে গর্ব করতেই পারি আমরা। চলুন তাঁর জন্য শুভকামনা জানিয়ে জেনে নিই রুহি আখতারের ব্যাপারে কিছু তথ্য যা জানতে এখন সকলেই খুব আগ্রহী হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

রুহি আখতারের বাবা বিলাত প্রবাসী বাংলাদেশি অভিবাসী। নাম কাপ্তান মিয়া। তাঁর পুরো নাম রুহি লরেন আখতার। রুহি যুক্তরাজ্যের মরপেথে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে এলসউইক ওয়ার্ডে বসবাস করছেন। তিনি একজন মানবিক সহায়তা কর্মী, অধিকারকর্মী। ব্রিটিশ বাংলাদেশি রুহি গাজায় জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার এবং চলমান অবরোধের প্রতিবাদ জানানোর উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, তিনি তিউনিসিয়ার গামার্থ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেন। তার নৌকায় ১২ জন রয়েছেন, যারা তিউনিসিয়া, স্পেন, গ্রিস ও ইতালি থেকে ইতোমধ্যে রওনা দেওয়া ৪০টিরও বেশি নৌকার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য , ২০২৪ সালে রুহি অসাধারণ বৈশ্বিক মানবিক কাজের জন্য বিলাতের নর্থ ইস্ট বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডসে বাংলাদেশি পার্সন অব দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন।
বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস-এর মাধ্যমে এর আগে রুহি গ্রীস, গাজা এবং অন্যান্য এলাকায় বাস্তুচ্যুত ও যুদ্ধপীড়িত মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য ও সহায়তা বিতরণ পরিচালনা করেছেন। সংস্থাটির অনেক সদস্য নিজেরাই বাস্তুচ্যুত বা সংঘাতপীড়িত এলাকার মানুষ অর্থাৎ শরণার্থী।

বিজ্ঞাপন

রুহি ন্যায়বিচারের পক্ষে এক দৃঢ় কণ্ঠস্বর। গাজায় যাওয়ার আগে তিনি ও তাঁর সাথীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ত্রাণের প্যাক রেডি করেন।

নৌবহরে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বলেন:“আমি গাজার উদ্দেশ্যে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছি, কারণ অন্যায়ের মুখে নীরব থাকা কোনো সমাধান নয়। বহুদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের খাদ্য, পানি, জমি, মৌলিক নিরাপত্তা এবং চলাচলের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। একজন মানবিক কর্মী হিসেবে আমি দেখেছি—এক টুকরো রুটি বা সামান্য বিশুদ্ধ পানি কীভাবে সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আশা ফিরিয়ে আনতে পারে। এই নৌবহর হলো সংহতির প্রতীক, যা মনে করিয়ে দেয় যে বিশ্ব তাকিয়ে আছে, এবং আমরা গাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকব যতদিন না তারা মুক্ত হয়। কারণ আমাদের কেউই মুক্ত নই, যতদিন না ফিলিস্তিন মুক্ত।”

সূত্র: ইন্সটাগ্রাম

ছবি: ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ০০
বিজ্ঞাপন