চারিদিকে সব কিছু যেন অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছে। অতিরিক্ত কথা, অতিরিক্ত কাজ, অতিরিক্ত চিন্তা আর সেই সঙ্গে প্রতিদিন কোনো না কোনো দিবসের বাহুল্য। সেই ১৯৭২ সালেই এই সব কিছুর প্রতি বিরক্ত হয়ে মার্কিন কলামিস্ট হ্যারল্ড কফিন কিছু না দিবসের প্রবর্তন করেন। আর তাঁর এই আইডিয়া লুফে নেন সকলেই।
আর এখনকার সার্বিক প্রেক্ষাপটে খুব বেশি প্রয়োজন এমন একটি দিন যেদিন কিছুই করব না আমরা। কিছু ভাবব না, কিছু বলব না। কিছু উদযাপন করব না। এই শূন্যতার ব্রেকটুকু নেওয়া খুব জরুরি হয়ে গিয়েছে আমাদের জীবনে।
ইনফরমেশন ওভারলোডের যুগ এখন। অন্তর্জালের কল্যাণে যেকোন কথা বা ঘটনা সবার আঙুলের ডগায় পৌঁছে যায় নিমিষেই। আর সেগুলোর বিষয়ে আপডেটেডও যেন থাকতেই হবে। সারাক্ষণ কিছু না কিছু করছি আমরা শশব্যস্ত হয়ে। এ কেমন জীবন!এদিকে দিবস আর বিশেষ দিনের বাহুল্যে পাগল হওয়ার যোগাড় সকলের।
আজ কিছুই উদযাপন করবেন না। আলাদা করে কিছু ভাবার দরকার নেই। কারো কিছুতে প্রতিক্রিয়াও না হয় না দেখালেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দিন, কিছু না। কী চাই আপনার আজকে? কিছু না। কী প্ল্যান আজ আপনার? কিছু না।
এই যে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে আপনার কী মতামত? কিছু না। আপনাকে কোন বিষয়টি কষ্ট দিচ্ছে? কিছু না। ধরে নিন আজ কিছুই না করার, না বলার বা না ভাবার দিন। চারপাশে তো সারা বছর কিছু না কিছু আছেই। আজ কিছু না দিবসে এর চেয়ে এক দিন বিরতি নিন, নিজের দৈনন্দিন অপরিহার্য কাজটুকু ছাড়া আর কিছুই করার দরকার নেই।
সূত্র: ডেইস অব দ্য ইয়ার
ছবি: পেকজেলস ডট কম