রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও আয়োজিত হয়েছে জাতীয় বৃক্ষমেলা-২০২৩। ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। এবার জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’।
ফুলগাছ তো বরাবরই সবার প্রিয়। বাগানবিলাস দিয়ে বাড়ি ও অফিসের প্রবেশপথ ও প্রাঙ্গণ সাজানোর চল বহুকাল ধরেই। শহর থেকে একটু বাইরে গেলেই প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় হাসনাহেনা, কামিনী, গোলাপগাছ দেখা যায়। শহরগুলোয় সেই পরিসরে দেখা না গেলেও বারান্দায় কিংবা ছাদে ছোট থেকে মাঝারি সাইজের গাছ থাকেই। মনকে প্রশান্ত করতে নিজের হাতে লাগানো, যত্নে বেড়ে ওঠা গাছের সদ্য ফোটা গোলাপ, বেলি বা জবা ফুলের জুড়ি নেই। আর ফুলের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্য থেকে নিজের পছন্দের গাছ কেনার সুযোগ করে দিয়েছে বৃক্ষমেলা।
বৃক্ষমেলায় রংবেরঙের নানা ফুলগাছ মুগ্ধ করছে ক্রেতাদের। চেনা ফুল গোলাপ, বেলি, কামিনী, জুঁই, জবা, লিলি থেকে শুরু করে দুর্লভ আর ভিনদেশি শতাধিক ফুলের সংগ্রহ রয়েছে মেলায়। আছে নয়নতারা, জারুল, কাটামুকুট, অলকানন্দা, সূর্যমুখীসহ আরও অনেক প্রজাতির ফুল। শুধু গোলাপ ফুলই আছে ১০ থেকে ১২ ধরনের।
রয়েছে পদ্ম আর শাপলাও। সাদা কাঠগোলাপ যেমন তার স্নিগ্ধ মায়া ছড়াচ্ছে, তেমনি নজর কাড়ছে মেরুন রঙের কাঠগোলাপ। কমলা, সাদা, গোলাপি, লাল রঙের জবাগুলোও কম যায় না। সুবাস ছড়াচ্ছে বেলি, হাসনাহেনা, কামিনী ফুল। এমন ফুলের সমারোহের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি অনেকেই পছন্দের দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের ফুলের গাছ।
ফুলগাছের চারা থেকে শুরু করে ফুলসহ ফুলগাছও পাওয়া যাচ্ছে এখানে। গাছের প্রজাতি ও আকার অনুযায়ী বিক্রেতারা দাম চাইছেন। অল্প জায়গার মধ্যে ছোট গাছে দ্রুত ফুলের আশায় ক্রেতারা হাইব্রিডের দিকে ঝুঁকছেন বেশি।
১৫ জুলাই শেষ হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত মাসব্যাপী এই বৃক্ষমেলা।