সপ্তাহে এই ৪ কর্মদিবস ১০০-৮০-১০০ নিয়ম মেনে চলে। যার মানে হলো ৮০ শতাংশ সময় ব্যয় করে একজন কর্মী ১০০ শতাংশ উৎপাদনশীল হবে এবং বিনিময়ে সে ১০০ শতাংশ বেতনই পাবে । ‘ফোর ডে উইক গ্লোবাল’ নামে একটি গ্রুপ জার্মানিতে প্রথম এই ক্যাম্পেইন শুরু করে। এখন এটি স্পেন, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যের অনেক দেশ অনুসরণ করে। চলুন জেনে নিই, যে দেশগুলোতে কর্মীরা চার দিন অফিস করেন, আর তিন দিন ছুটি পান
জাপানে জন্মহার আশঙ্কাজনক হারে কমছে। এর অন্যতম কারণ হলো ঘরের ও বাইরের কাজের চাপ। জাপানি নারীরা পুরুষদের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গৃহস্থালির কাজ করে থাকেন। ফলে পরিবার গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ কমছে তাঁদের। এদিকে অফিসে বেশি ছুটি পেলে পুরুষেরা ঘরের কাজে বেশি সময় দিতে পারবেন, সেই চিন্তা থেকে জাপান সরকারি কর্মকর্তাদের সপ্তাহে চার দিন কর্মদিবসের ঘোষণা দিয়েছে।
ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বেলজিয়ামই প্রথম ২০২২ সালে সপ্তাহের চার দিন কাজকে আইন হিসেবে সামনে আনে। কোনো বেতন কাটা ছাড়াই এই দেশের কর্মীরা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কাজকে ৪ দিনে সম্পন্ন করেন। এমনকি কাজ শেষে অফিসের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখতে হয় না তাঁদের। কর্মীদের বিশ্রাম ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেই এই উদ্যোগ নেয় দেশটি।
২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল দেশটির ৪১টি কোম্পানি ৩ দিন ছুটি দিয়ে কর্মীদের উৎপাদনশীলতায় প্রভাব পড়ে কি না, তা পরীক্ষা করে। ফলাফল আশানুরূপ দেখে ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে ৪ দিন কর্মদিবস চালু করে। এ ছাড়া সুখী ও স্মার্ট কর্মী পেতে জার্মানিতে সপ্তাহে কর্মঘণ্টা ৩৪ ঘণ্টা।
২০১৫ থেকে ১৯ সাল আইসল্যান্ড সব দেশের আগে এ নিয়ে পরীক্ষা করে। অফিসে কাজের সময় কমলে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ছে দেখে দেশটির পাবলিক সেক্টরে কর্মীদের সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজকে কমিয়ে ৩৫ থেকে ৩৬ ঘণ্টা করে দেওয়া হয়।
পুরোপুরি চার দিনের কর্মসপ্তাহ নিয়ম মেনে না চললেও তাদের কাজের সময় খুবই কম, সপ্তাহে ৩৭ ঘণ্টা। এতে কর্মীদের কাজের মান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হয়েছে।
ছবি: পেকজেলসডটকম