জনতার রায়: ‘বার্বেনহেইমার’ দ্বৈরথে যে কারণে জিতে গেল ‘বার্বি’
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

বছরের সাড়া জাগানো ‘বার্বি’ সিনেমার যথেষ্ট পরিমাণ অস্কার মনোনয়ন না পাওয়া নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। জুরিরা হয়েছেন প্রশ্নবিদ্ধ। বাফটায়ও ‘ওপেনহেইমার’ই নিয়ে গেছে সব পুরস্কার। নিছক সস্তা, রংচঙে মুভি ‘বার্বি’, দিন শেষে এগুলোর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয় না—এমন সব নেতিবাচক কথাও উড়েছে বাতাসে। তবে এ বছরের পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে উলটে গেছে টেবিল। ‘বার্বি’ মুভি পেয়েছে ছয়টি পুরস্কার।

আর টেইলর সুইফটের জয়জয়কার এখানেও অব্যাহত। গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জনতার রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বহুল আলোচিত ‘ওপেনহেইমার’ জিতেছে মাত্র একটি পুরস্কার। এদিকে বিটিএস আর্মির ভোটে সেরা পারফর্মারের ভোটের পাল্লা ভারী হয়েছে এ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়া বিটিএস তারকা জুংকুকের। এ বছর ৪৫টি বিভাগে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। আর এ বছর একই সঙ্গে মুক্তি পাওয়া দুটি অত্যন্ত বিপরীতমুখী সিনেমা ‘বার্বি’ আর ‘ওপেনহেইমার’–এর বিখ্যাত দ্বৈরথ ‘বার্বেনহেইমার’-এর বিষয়ে আমজনতার মতামত খুব স্পষ্টভাবে উঠে এল এই অ্যাওয়ার্ডসে।

বিজ্ঞাপন

‘বার্বি’ মুভিটি আক্ষরিক অর্থেই সারা দুনিয়াকে গাঢ় গোলাপি রঙে রাঙিয়ে দিয়েছিল ২০২৩ সালে। বার্বিকোর হাইফ্যাশনের মঞ্চ থেকে নেমে এসে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের নারীদের মন ও ওয়ার্ডরোবে জায়গা করে নিয়েছে। বার্বি সেজে এই সিনেমা দেখতে গেছেন সবাই দলে দলে।

আর তা সারা দুনিয়ায়। গ্রেটা গারউইগের শক্তিশালী নির্মাণ, মার্গো রবির অনবদ্য অভিনয় আর সামগ্রিকভাবে এই সিনেমার গল্প বলার কায়দা ও মূল বক্তব্য খুব বেশি ছুঁয়ে গিয়েছিল সবাইকে। নারীবাদের এক সফল চিত্রায়নের ফলে ‘বার্বি’ সিনেমা আমাদের জীবনের গল্প আর যাপনের অংশ হয়ে গিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

ঠিক একই সঙ্গে বর্ণহীন এক নির্মমতার গল্প ‘ওপেনহেইমার’। পারমাণবিক বোমার জনকরূপে কিলিয়ান মার্ফির বাস্তবসম্মত অভিনয় আর ক্রিস্টোফার নোলানের ভয়ংকর সুন্দর দৃশ্যায়নের সঙ্গে অনেকটা আশাতীত ধরনের একাত্মতা দেখিয়েছেন দুনিয়াজোড়া দর্শক। বুঝে, না বুঝে ‘ওপেনহেইমার’–এর আবেগ অথবা আবেগহীনতাকে আপন করে নিয়েছেন সবাই। উচ্চমার্গের সিনেমা হিসেবে সমালোচকেরা লুফে নিয়েছেন এটিকে।

বছর শেষে যখন পুরস্কার আর ফিরে দেখার বিষয়গুলো সামনে এল, তখন বলা হচ্ছিল যে ‘বার্বি’ মুভির চটকদার পরিবেশনা আর সাময়িক আবেগের আবেদনও সাময়িক। ‘ওপেনহেইমার’ নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে বেশি। বেশি বেশি পুরস্কার জিতেছে সিনেমাটি জুরির সমর্থনে। কিন্তু ‘বার্বি’ সিনেমার আবেগের প্রভাব যে আসলে কত সুদূরপ্রসারী, তা অবশেষে প্রমাণিত হলো পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডসে এসে। এখন নির্দ্বিধায় বলা যায়, বিশ্বের কোটি নারীর জীবনের গল্প থেকে নেওয়া ‘বার্বি’ একটি টাইমলেস ক্ল্যাসিকে পরিণত হবে। বারবার মনে করবেন সবাই এই সিনেমাকে।

ছবি: ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ০০
বিজ্ঞাপন