জীবনে যে ৫টি ঝুঁকি না নিলে এগোনো যায় না
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ঝুঁকি মানেই কি খারাপ কিছু? ইংরেজিতে একটা কথা আছে ‘নো রিস্ক নো গেইন’। তার পরও আমরা ছোটবেলা থেকেই গৎবাঁধা শিক্ষাজীবন শেষে কর্মজীবনেও শুধু জব সিকিউরিটি খুঁজে বেড়াই। যেকোনো উদ্যোগে যেন রিস্ক ফ্যাক্টর না থাকে সেভাবেই এগোতে চাই। এতে হয়তো প্রথাগত স্বস্তিদায়ক এক ছকে বাঁধা জীবন অর্জন করতে পারি আমরা। কিন্তু এ জীবনে শুধুই সকাল হয়ে রাত আসে, তারপর আবার রাত পোহালে দিন। এভাবেই একদিন আমরা কমফোর্ট জোনের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে জীবনসায়াহ্নে এসে পড়ি। মনে হয়, জীবনে কিছুই করা হলো না।

বিজ্ঞাপন

তাই সময় থাকতেই কিছু ঝুঁকি নিয়ে জীবনকে সার্থকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা থাকতে হবে আমাদের মধ্যে। এবার এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১। নিজেকে নিরাপত্তা বলয়ে আটকে না রাখা

পড়াশোনায় নিজের প্রিয় বিষয় বা জীবনসঙ্গীর বেলায় নিজের প্রিয় মানুষকে বেছে না নিয়ে সারাটা জীবন দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে রাখতে হয়। বন্ধুদের সঙ্গে কোনো একটি আরাধ্য অভিযানে না যাওয়া বা চাকরি ছেড়ে মনের মতো একটি উদ্যোগ শুরু করতে আমরা সাহস পাই না। ঝুঁকি নিই না আসলে আমরা।


২. নিজের স্বপ্ন আর প্যাশনকে গুরুত্ব দেওয়া

জীবনটা আসলে খুবই ছোট। এটুকু সময় নিজের মতো করে বাঁচতে না পারলে সে কেমন বেঁচে থাকা! সময় থাকতে নিজের স্বপ্নের লক্ষ্য পূরণের জন্য সম্ভব সবকিছু করা উচিত। হোক তা ছবি এঁকে বা কবিতা লিখে দিন গুজরান করা অথবা বেহালা বাজাতে শেখা। কলম পিষে জীবন কাটিয়ে দিয়ে ক্বচিৎ মনে পড়ে যাওয়া নিজের লেখালেখির মুনশিয়ানা, বেকিংয়ের পারদর্শিতা বা ছবি আঁকার জাদুকরি হাত কি আপনাকে ক্ষমা করতে পারবে?

বিজ্ঞাপন

৩. এক চাকরিতে আটকে না থাকা

ধরা যাক ছাত্রজীবন শেষে মোটামুটি ভালো বেতনে চাকরি পেয়ে গেলেন কোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে। আর সেখান থেকে আপনি নড়ার নামই নিলেন না, সে আপনার কাজ যতই মূল্যহীন প্রতিপন্ন করা হোক সেখানে৷ নিজেকে ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার মানে হয় না। নতুন কোথাও চেষ্টা করা উচিত। সচ্ছলতা একসময় আসবেই।

৪. পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া

পরিবর্তন আসবেই। এ নিয়ম কেউ ঠেকাতে পারবে না। আর প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বন্ধুত্বের সম্পর্কের নতুন সব দিক মিলিয়ে নিয়ে নিজেকে সেখানে বসাতে হবে ‘জিগ স পাজলের’ শেষ টুকরাটির মতো। এই যে এআইয়ের বিষয়টিই ধরা যাক। এই প্রযুক্তির আদ্যোপান্ত জেনে নিয়ে সেটিকে ব্যবহার করতে পারাই এআইয়ের ওপরে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। আজই চ্যাটজিপিটি দিয়ে কিছু লিখে ফেলুন, নয়তো এই ঝুঁকিগুলো নিলে ১০ বছর পর আপনাকে কেমন লাগবে, তা এঁকে ফেলুন মিডজার্নি দিয়ে।

৫. ব্যর্থতাকে ভয় না করা

ঝুঁকি না নেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণই ব্যর্থতার ভয়। ‘ফেইলিউর ইজ দ্য পিলার অব সাকসেস’ কথাটি তখন কাগজে–কলমেই রয়ে যায়। আপনি যদি ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি না নিতে পারেন, তাহলে সাফল্য অধরাই রয়ে যাবে।

লোকে না হয় কথা বলবে, হাসি–তামাশা করবে আপনার না পারা নিয়ে। কিন্তু কাজটি সত্যিকার অর্থে চেষ্টা করে না দেখলে আপনি জানবেনই না তাতে সফল হতে হলে কী কী করা প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: থট ক্যাটালগ

ছবি: পেকজেলস ডট কম ওঃ সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০১: ৪১
বিজ্ঞাপন