বিবাহিতা নারীদের অপঘাতে মৃত্যু হলে নাকি শঙ্খচূর্ণী হয়ে তারা ঘুরে বেড়ায়। আর বিবাহিত জীবনের সবকিছুর প্রতি তার রয়ে যায় অদম্য আকর্ষণ। বিশেষ করে শাঁখা। সেই থেকেই এই ভূতসুন্দরীর নাম হয়েছে শঙ্খচূর্ণী। প্রচলিত গল্পকথায় শাকচুন্নী বলেই ডাকা হয় তাকে। আমাদের সবার প্রিয় গা ছমছমে গল্পের সংকলন ঠাকুরমার ঝুলি আর তার অ্যানিমেশন রূপের কল্যাণে শাকচুন্নী বেশ পরিচিত সকলের কাছে। সবুজ বর্ণের এই ভূতসুন্দরীর রূপ একেবারেই অন্যরকম। লাল টকটকে ঠোঁটে তার ভয় ধরানো হাসি। নাকিসুরে কান্নাও করে সে গাছের ডালে বসে। রক্ত জল করা হাসির শব্দে মূর্ছা যাওয়ার যোগাড় হয় সে গাছের ধারেকাছে গেলে। শঙ্খচূর্ণীর পাল্লায় পড়লে ঘাড় মটকে শেষ করে দিতে পারে সে যে কাউকে। বিবাহিত নারীদের প্রতি তার বেজায় ক্ষোভ আর প্রতিহিংসা থাকে মনে। সে নিজে যা ভোগ করতে পারে নি, তা অন্য কারো ভাগ্যে জুটলে শাকচুন্নী হিংসার আগুনে জ্বলে ওঠে। এদিকে কাউকে মনে ধরলে তাকে বশে আনার জন্য মানবীর ছদ্মবেশ ধরতে পারে সে৷ শেওড়া গাছের ডালে বসে শিকারের সন্ধান করে শাকচুন্নী। আর তার ভয়াল রূপে আকর্ষণ করে, ভয় দেখায় যাকেই পায়।
ফটোগ্রাফি: অনিক মজুমদার
লাইটস: শুভ্রদেব হালদার
রূপ ও কেশসজ্জা: আব্রাহাম আহাম্মেদ অপু
শাড়ি: রঙ বাংলাদেশ
গয়না: পোশাক বাই তান্নাস
লোকেশন: দোতলা ( ফ্যাশনের সুপরিচিত যৌথ উদ্যোগ)
মডেল: অরণী
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: দোতলাবাসী