অন্দরসজ্জায় মিনিমালিজম
শেয়ার করুন
ফলো করুন

‘লেস ইজ মোর’ বলে ইংরেজিতে একটি কথা আছে। বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘অল্পই সুন্দর’। মিনিমালিজম মানেও কিন্তু অনেকটা তা–ই। আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনে মিনিমালিজম শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। আগের জবরজং নকশা আর রঙের বদলে জায়গা করে নিয়েছে হালকা নকশা আর রং। মানুষ প্রাধান্য দিচ্ছে আরাম আর ‍উপযোগিতাকে।

বিজ্ঞাপন

‘লেস ইজ মোর’ বলে ইংরেজিতে একটি কথা আছে। বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘অল্পই সুন্দর’। মিনিমালিজম মানেও কিন্তু অনেকটা তা–ই। আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনে মিনিমালিজম শব্দটি বেশ জনপ্রিয়। অল্প কিছু সাদামাটা উপকরণে অন্দরকে অসাধারণ করে সাজিয়ে তুলতে অনেকেই ভালোবাসছেন। এখন অনেকের কাছে বেশি আসবাব নয়, বরং স্বল্প কিন্তু প্রয়োজনীয় ও বেশ কাজে আসে, এমন আসবাবই প্রাধান্য পাচ্ছে। আসবাবের নকশায় এসেছে ভিন্নতা। শুধু নকশায়ই নয়, রং নির্বাচনেও পরিবর্তন লক্ষণীয়।

আগের জবরজং নকশা আর রঙের বদলে জায়গা করে নিয়েছে হালকা নকশা আর রং। মানুষ প্রাধান্য দিচ্ছে আরাম আর ‍উপযোগিতাকে। অন্দরসজ্জায় মিনিমালিজমের এই নতুন ধারায় কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। আপনি নিজের শান্তির নীড়কে অল্পেই সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে চাইলে জেনে নিতে পারেন প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়।

বিজ্ঞাপন

চোখের জন্য আরামদায়ক রং

সারা দিনের খাটুনি, দৌড়–ঝাঁপ, বহু ঝক্কি–ঝামেলা পেরিয়ে আমরা ঘরে ফিরি। তাই ঘরের রং, আসবাব—সবকিছু এমন হওয়া চাই, যেন তা আমাদের মনে প্রশান্তি আনে। নিমেষে ক্লান্তি দূর করে। মিনিমালিজমে হালকা রং প্রাধান্য পায়। তবে হালকা রং বলতে আমরা অনেকেই হয়তো সাদা, বড়জোর অফহোয়াইট বুঝি। ব্যাপারটি ঠিক এমন নয়। আপনি চাইলে ধূসর বা ছাই রংও ব্যবহার করতে পারেন। যদিও মিনিমালিজমে এসব সাদাকালো ধাঁচের রং গুরুত্ব পায়; তবু আপনি চাইলে এর বাইরে হালকা নীল বা পছন্দের যেকোনো হালকা রংও ব্যবহার করতে পারেন। অনেক রং বা গাঢ় রং ব্যবহার করলে একে তো তা ক্লান্তি আনে, তা ছাড়া জায়গাটাও দেখতে তুলনামূলক ছোট লাগে। সে ক্ষেত্রে মিনিমালিজম বলে হালকা একটি বা দুইটি রংই আপনার ঘরে আনতে পারে প্রশান্তির আবেশ। মিনিমালিজম বলি আর যা–ই বলি না কেন, দিন শেষে ঘরটায় আপনি থাকবেন। তাই আপনার রুচি আর আরামকেই বিবেচনায় প্রাধান্য দেবেন।

সরল জ্যামিতিক নকশা

আগে যেমন আসবাবসহ অন্দরসজ্জার সব উপকরণেই জটিল নকশাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো, এখন সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে সরল নকশা। সরল রেখা, বাঁক থাকলেও তা মসৃণ, বেশি হিজিবিজি নয়। আসবাব কিংবা ঘরের ডিজাইনে যদি সরল ছিমছাম নকশা প্রাধান্য পায়, তা ঘরকে বড় এবং গোছানো দেখাতে সাহায্য করে।

খুব বেশি আসবাব নয়

একটি ঘরে খুব বেশি আসবাব রাখা হলে তা অনেক জায়গা নিয়ে নেয়। অন্দরসজ্জায় মিনিমালিজম রাখতে চাইলে এমন আসবাব ব্যবহার করতে হবে, যা ছিমছাম, খুব বেশি জটিল নকশার নয়। আর অবশ্যই অনেক আসবাব দিয়ে ঘর ভরিয়ে ফেলা যাবে না। অল্প আসবাব ব্যবহার করতে হবে, আসবাব বিন্যাসে বিচক্ষণ ও যত্নশীল হতে হবে।

ঘরে প্রকৃতির ছোঁয়া

ঘরের সবকিছু যেন কৃত্রিমতা দখল করে না নেয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রাকৃতিক আলো–বাতাস যেন ঘরে ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারে, সেভাবে দরজা, জানালা, পর্দা ও আসবাবের বিন্যাস নির্বাচন করতে হবে। প্রকৃতির ছোঁয়া আনতে ঘরে রাখতে পারেন ইনডোর প্ল্যান্টস। ইনডোর প্ল্যান্টস ঘরকে প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি জোগাবে বিশুদ্ধ বাতাস।

অলংকরণে পরিপাট্য

ঘর অলংকরণে যা–ই ব্যবহার করুন না কেন, সেটা যেন হয় পরিপাটি। ওয়ালম্যাট, পেইন্টিং কোথায় রাখবেন সেটি নিয়ে নিরীক্ষা করুন। দেশীয় উপকরণে তৈরি ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। তবে এসব উপকরণ দিয়ে ঘর সাজাতে গিয়ে যেন তা আপনার ঘরের বেশি জায়গা নিয়ে না নেয় কিংবা ঘরের সহজ পরিপাটি ভাবের মধ্যে বাধার সৃষ্টি না করে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ০৫
বিজ্ঞাপন