দেশজুড়ে বইছে প্রচণ্ড দাবদাহ। উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা মিলে গরমে সবার নাভিশ্বাস অবস্থা। এই গরমে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া এড়িয়ে চলছেন অনেকেই। এদিকে ঘরেও গরমের তীব্রতা অসহনীয়। অন্দরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে প্রত্যেকেই ব্যবহার করছেন ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার কুলার ইত্যাদি। তবে প্রচলিত এই পদ্ধতিগুলোর বাইরে ঘর ঠান্ডা রাখতে অবলম্বন করতে পারেন ভিন্ন কিছু পন্থা।
জানালা খোলা রাখতে কিছুটা কৌশল অবলম্বন করুন। ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত জানালা খোলা রাখুন। এ সময় বাতাস শীতল ও আরামদায়ক থাকে। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই ঘর ঠান্ডা থাকবে। রাতে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। এ সময় জানালা খোলা রাখুন। এটি ভেতরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
দিনের বেলা পুরোটা সময় পর্দা টেনে রাখুন। এটি ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে দেবে। পর্দায় সিনথেটিক কাপড় ও গাঢ় রং পরিহার করুন। সাদা অথবা প্যাস্টেল–জাতীয় রঙের সুতি পর্দা ব্যবহার করুন। এতে ঘরে কম তাপ আবদ্ধ হবে এবং ঘর ঠান্ডা থাকবে।
ঘর সাজাতে ব্যবহার করুন ইনডোর প্ল্যান্ট। অন্দরসজ্জার পাশাপাশি এটি ঘরের ভেতরের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। অ্যালোভেরা, এরিকা পাম ও ফার্ন–জাতীয় গাছ ঘরকে ঠান্ডা রাখে। আবার এই গাছগুলো বিষাক্ত বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে।
এই গরমে বিছানার চাদরের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সাটিন, সিল্ক অথবা পলিয়েস্টার এড়িয়ে চলুন। সুতি অথবা লিনেন কাপড়ের চাদর ব্যবহার করুন। রঙের ক্ষেত্রে হালকা কোনো রঙের চাদর পছন্দ করুন। এতে গরমে অস্বস্তি কম অনুভূত হবে এবং রাতের ঘুম হবে স্বস্তিদায়ক।
দেয়ালের জন্য হালকা রং নির্বাচন করুন। এ ক্ষেত্রে আকাশি নীল, প্যাস্টেল ইয়েলো, অ্যাকোয়া ও ঈষৎ ধূসর ভালো পছন্দ হতে পারে। হালকা রং তাপ ও আলোর প্রতিফলন ঘটায়। ফলে তাপ শোষণ কম হয় এবং ঘর ঠান্ডা থাকে। আবার দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার অন্দরের শোভা বাড়িয়ে দিতে পারে বহুগুণ।
গরমে ঘরে ব্যবহার করতে পারেন ডিহিউমিডিফায়ার। এটি এয়ার কন্ডিশনারের মতো ঠান্ডা বাতাস এনে ঘরকে ঠান্ডা করে না; বরং বাতাস থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়, সেই সঙ্গে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ঘরের ভেতরকে আরামদায়ক রাখে। একই সঙ্গে ডিহিউমিডিফায়ার চিটচিটে ময়লা ও কালিঝুলি থেকে ঘরকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
সূত্র: আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্ট
ছবি : পেকজেলসডটকম