এক মসজিদে আছে গুপ্তধন, অন্যটায় নামাজ পড়ে জিন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

খান মোহাম্মদ মৃর্ধার মসজিদ

এই মসজিদ ঢাকার আতশখানায় অবস্থিত
এই মসজিদ ঢাকার আতশখানায় অবস্থিত

খান মোহাম্মদ মৃর্ধার মসজিদ পুরান ঢাকার আতশখানায় অবস্থিত। প্রাচীন এই মসজিদ ১৭০৬ খ্রিষ্টাব্দে নায়েবে নাযিম ফররুখশিয়ারের শাসনামলে নির্মিত হয়। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের মতে, ঢাকার প্রধান কাজী ইবাদুল্লাহর ১৭০৪ ও ১৭০৫ সালের মধ্যে দেওয়া আদেশে খান মহম্মদ মৃর্ধা এই মসজিদ নির্মাণ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। স্থানীয় লোকজন এর নাম দিয়েছে দোতলা মসজিদ। এলাকায় জনশ্রুতি আছে, এর মাঝখানে কী আছে জানা নেই, অনেকেই বলে গুপ্তধন আছে এর মধ্যে, যার সত্যতা পাওয়া যায়নি। পাশেই আছে একটি পরিত্যক্ত কুয়া। মসজিদের সামনের উঠানটি লাল রঙের পোড়ামাটির আদলে করা।

বিজ্ঞাপন

কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ

স্থানীয়ভাবে এই মসজিদকে ‘চিনির টুকরা মসজিদ’ বলা হয়ে থাকে
স্থানীয়ভাবে এই মসজিদকে ‘চিনির টুকরা মসজিদ’ বলা হয়ে থাকে

মসজিদটি পুরান ঢাকার কসাইটুলির পি কে ঘোষ রোডে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি ‘চিনির টুকরা মসজিদ’ নামে পরিচিত। মূলত মসজিদের গায়ে চিনামাটির সাদা টুকরাগুলো দেখতে চিনির দানার মতো হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদকে এই নামে ডাকেন। মসজিদটি চিনামাটির টুকরা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মোগল আমল থেকে কসাইটুলিতে মহল্লার সরদারদের নেতৃত্বে সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। সরদারেরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কমরউদ্দিন সরদার ছিলেন সবচেয়ে খ্যাতিমান। ব্রিটিশ আমলে কসাইটুলি ঢাকার সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। এশিয়াটিক সোসাইটি প্রকাশিত ঢাকা কোষ থেকে জানা যায়, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী আবদুল বারি ১৯০৭ সালে বংশাল থানার আধীন পি কে ঘোষ রোডে এই মসজিদ তৈরি করেন।

বিজ্ঞাপন

নয়নাভিরাম কারুকার্য শোভিত এই মসজিদের ছাদে তিনটি গম্বুজ। চারকোনায় চারটি বুরুজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। গম্বুজ আর বুরুজগুলোর মাথায় আছে সূক্ষ্ম পদ্মফুলের নকশা করা তীর। ছাদের চারদিক ঘিরে আছে অনেক টারেট, যা মসজিদের নকশাকে আরও জমকালো করে তুলেছে। মসজিদটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, চিনামাটির অভিনব সব কারুকাজ।

সব দেয়ালেই মোজাইক নকশা করা
সব দেয়ালেই মোজাইক নকশা করা

ভেতরে–বাইরে প্রায় সব দেয়ালেই মোজাইক নকশা করা। চিনামাটির ভাঙা টুকরা আর রঙিন কাচ দিয়ে গোলাপের ঝাড়, আঙুরের থোকা, ফুলদানির ছবি ফুটে উঠেছে মসজিদের দেয়ালে-খিলানে। জনশ্রুতি আছে, এ মসজিদে জিনেরা নামাজ পড়ে। বিশেষ করে ফজরের নামাজের সময় জিনেরা এখানে নামাজ পড়তে আসে। অনেকে জিনকে এখানে নামাজ পড়তে দেখেছেন বলে জানান।
ছবি: উইকিপিডিয়া

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩: ০০
বিজ্ঞাপন