মেঘলা দিনে মন ভালো রাখতে যেভাবে 'ফেং শুই' মতে ঘর সাজাবেন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ফেং শুই প্রাচীন চীনের একটি সিউডোসায়েন্স বা ছদ্মবিজ্ঞান। ইংরেজি থেকে অনুবাদ করলে যার অর্থ হয় বায়ু-জল। ফেং শুইর বেশ কিছু দিক রয়েছে, তবে মনোবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন ফেং শুই কৌশল ব্যবহার করে ঘরে রং বিন্যাস করলে মানসিকভাবে শান্তি পাওয়া সম্ভব। ঘরে শান্ত ও আরামদায়ক আবহ রাখতে চাইলে অভ্যন্তরীণ নকশা হতে হবে মানসিক স্বাস্থ্যবান্ধব।

১.শিল্পকর্ম

ঘরে সাজানো যেকোনো শিল্পকর্মই আপনার ব্যক্তিত্ব ও চিন্তাকে প্রতিফলিত করে। প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত চিত্রকর্ম ভেতরের আবেগকে সতেজ রাখতে পারে। প্রাণবন্ত চিত্রকর্ম ঘর ও মনের অবস্থাকে শান্ত রাখতে পারে।

২.প্রাকৃতিক অনুষঙ্গ

ঘরে যতটা সম্ভব টেকসই সামগ্রী ব্যবহার করা উচিত। বিষাক্ত রাসায়নিক ও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত কৃত্রিম ফাইবার থেকে দূরে থাকলে স্বাস্থ্যকর ও টেকসই জীবন যাপন করা যাবে। রাসায়নিক মেশানো দেয়ালের রং ঘরের বাতাসকে দূষিত করে। মনের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিষাক্ত রাসায়নিক নয় বরং পরিবেশবান্ধব পণ্যে ঘরের নকশা করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

৩.মি টাইম স্পেস

৩ঘরের নকশায় মি টাইম স্পেস থাকা মনের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। কিন্তু মি টাইম স্পেস কী? বাইরের চাপ নিয়ে ঘরে প্রবেশের পর শুধুমাত্র নিজের জন্য একটি স্থান দরকার। শান্ত ও নিরিবিলি, যেখানে চাইলেই নিজের মতো বইপড়া, গান শোনা, ইয়োগা করা বা প্রকৃতি দেখা যায়। মানসিক স্বস্তির জন্য ঘর নকশার সময়ে মি টাইম স্পেস তৈরিকে দিতে হবে সবোর্চ্চ গুরুত্ব।

৪.ঘরের রং

ঘরের দেয়ালের রং কিন্তু মনকে শান্ত বা অশান্ত রাখতে পারে। ঘরে শীতল বা উষ্ণ—দুই ধরনের রঙের ব্যবহার করা যাবে। ছোট ঘরে শীতল রং ব্যবহারে ঘরের পরিধি বড় মনে হবে। মনের ওপর যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বড় ঘরে উষ্ণ রং ব্যবহার করা যাবে। এতে ঘরের সবকিছুই নিজের কাছাকাছি মনে হবে অর্থাৎ নিজেকে বিচ্ছিন্ন বা একা অনুভব হবে না।

বিজ্ঞাপন

৫.কাঠের আসবাব বা নকশা

হতাশা কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে কাঠের তৈরি যেকোনো ধরনের ঘরসজ্জা সামগ্রী। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সময় কাঠের আসবাব বা দেয়ালে কাঠের নকশা থাকতে পারে। ঘরের কৃত্রিমতা যতটা সম্ভব কমাতে চেষ্টা করতে হবে।

৬.ঘ্রাণ

কোনো স্থানে শরীর ও মন আরামবোধ করছে কি না তা বুঝতে, মস্তিষ্ক তার সবগুলো ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে আমাদের ঘ্রাণ শক্তিও। মনকে শান্ত রাখতে ও মানসিক স্বস্তি পেতে ঘরে সুঘ্রাণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে কৃত্রিম ফ্রেশনার, রাসায়নিক দেওয়া ফুল, তেল বা মোম রাখা যাবে না। ল্যাভেন্ডার, জেসমিন, রোজমেরি, ভ্যানিলা, লেবুর ঘ্রাণ অ্যারোমাথেরাপির কাজ করে। ঘরের সুন্দর ঘ্রাণ দিন শেষে মেডিটেশনেরও দারুণ কাজ করে। মনের নেতিবাচক চিন্তা কমে এবং ঘুমও হয় নির্বিঘ্ন।

সূত্র: হোমলেন, রিয়াল সিম্পল ও অ্যামি এলিজাবেথ ইন্টেরিয়র

ছবি: ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ০৬
বিজ্ঞাপন