যেভাবে কাঠগোলাপ হবে ছাদবাগানে

‘কাঠগোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি

আবছা নীল তোমায় লাগে ভালো।’

কাঠগোলাপের কথা শুনলেই মনের মধ্যে প্রেম-প্রেম এক হাওয়া বয়ে যায়। গোলাপ ফুলের রানি হলেও কাঠগোলাপপ্রেমীদের কাছে এর কদর গোলাপের চেয়ে কম নয়। চমৎকার সুবাসে ভরা কাঠগোলাপ অনন্য প্রশান্তি নিয়ে আসে মনে। এবার ছাদবাগানে টবে লাগানো কাঠগোলাপের পরিচর্যা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কাঠগোলাপের গাছ বীজ থেকে যেমন হয়, তেমনি ডাল বা কাণ্ড কেটেও নতুন গাছ লাগানো যায়। ডাল কেটে এনে উর্বর মাটিতে বুনে দিলে ১৫ বা ২০ দিনের মধ্যেই নতুন পাতা চলে আসে। আবার নার্সারি থেকে কিনে এনে সহজেই টবে এই গাছ লাগানো যায়।

কাঠগোলাপ গাছের জন্য আদর্শ মাটি হচ্ছে দোআঁশ মাটি। ৭০ শতাংশ মাটি ও ৩০ শতাংশ জৈব সার মিশিয়ে এই মাটি তৈরি করলে ভালো। যে টবে লাগানো হবে, তার নিচে অবশ্যই ছিদ্র থাকতে হবে। মাটির টবের ভাঙা অংশ দিয়ে ছিদ্র কিছুটা বন্ধ করে তারপর গাছ লাগাতে হয়।

মাটিতে যেন নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখা জরুরি। নাইট্রোজেন বেশি হয়ে গেলে গাছে প্রচুর পাতা আসবে কিন্তু ফুল ফুটবে না সহজে। তাই নাইট্রোজেনযুক্ত সার ব্যবহারে সাবধানতা প্রয়োজন।

নতুন পাতা আসা শুরু করলে সুপার ফসফেট বা ইউরিয়া সার অল্প অল্প করে টবের কিনারা দিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। শিকড়ের আশপাশে দেওয়া যাবে না।

একটু বড় টব বাছাই করতে হবে কাঠগোলাপের জন্য। বীজ দিয়ে চারা করতে চাইলে বীজ আগের রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। টবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না, তবে নিয়মিত পানি দিতে হবে। রোদ ও আলো–বাতাস আছে, এমন স্থানে কাঠগোলাপের টবটি রাখতে হবে।

একটুখানি যত্নের বিনিময়ে কাঠগোলাপ গাছটি আপনার চারপাশে এনে দেবে এক সৌরভময় প্রশান্তি, যা আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে অনেকটাই অনুপস্থিত।

ছবি: সেলিনা ইভা ও উইকিপিডিয়া