ঠিক দুক্কুরবেলা
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

‘ঠিক দুক্কুরবেলা, যেন ভূতে মারে ঢেলা’—প্রচলিত মজার ছড়াটির পঙ্‌ক্তি দুটি শুনলেই ঝিমধরা গ্রীষ্মের দুপুরের কথা মনে হয়। প্রায় ৬০ বছরের ইতিহাসের তপ্ততম দুপুরগুলো আমরা পার করছি কিছুদিন ধরে। বাইরে তো বটেই, ঘরের ভেতরেও যেন গরমে টেকা দায়! তবে বসার ঘরের ব্যাপারে গার্হস্থ্যবিজ্ঞানের কিছু পরামর্শ মেনে চললে এ দাবদাহের দুপুরগুলো একটু সহনীয় হয়ে উঠতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ছিমছাম অন্দরসজ্জা

এমন দহন দিনে খুব বেশি জিনিসপত্র দিয়ে ঠাসা ঘর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অপ্রয়োজনীয় আসবাব, সাজসজ্জার জিনিস ইত্যাদি সরিয়ে নিয়ে ছিমছাম রাখতে হবে ঘর। মিনিমালিজম আসলে সব ক্ষেত্রেই সুবিধাজনক। এতে ঘর পরিষ্কার রাখাও সহজ হবে।

বিজ্ঞাপন

হালকা আসবাব

সোফার আপহোলস্ট্রি খুব ভারী কাপড়ের তৈরি হলে, অতিরিক্ত পুরু গদি বা ফোম ব্যবহার করলে গরমে হাঁসফাঁস লাগাটাই স্বাভাবিক। হালকা আসবাব স্বস্তি দেবে এ ক্ষেত্রে। কাঠ, পার্টিকেল বোর্ড, প্রসেসড উড বা বেতের সোফা, সিটার বা আরামদায়ক চেয়ার রাখা যায় বসার ঘরে।

রং নির্বাচন

বসার ঘরের সাজসজ্জায় নীল বা সবুজ থিমের রং বেছে নিলে একধরনের শীতল ও আরামদায়ক অনুভূতি পাওয়া যাবে। পাতার প্যাটার্ন যেমন ছবিতে দেখানো বসার ঘরটিতে প্রকৃতির আমেজ নিয়ে এসেছে।

ঘরে গাছ রাখা

ঘরে বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা যায়। অন্দরে শীতলতা আর শান্তির পরশ আনতে গাছের জুড়ি নেই। বেছে নেওয়া যায় পোথোস, স্নেক প্ল্যান্ট, লাকি ব্যাম্বু, মন্সটেরা ইত্যাদি।

কার্পেট নয়

কার্পেট বা রাগ এ সময়ের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। তকতকে করে মোছা, পরিষ্কার মেঝে ঘরে আরামদায়ক অনুভূতি দেবে৷ তাই এ সময় কার্পেট গুটিয়ে রাখতে হবে।

রোদ রুখতে হবে

এ সময় বেলা বাড়লেই পর্দা টেনে দিতে হবে। রোদ সরাসরি পড়লেই তাপমান বেড়ে যাবে ঘরের। দিন শেষে জানালা খুলে পর্দা সরিয়ে দিতে হবে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে।

ছবি: ফারজানা তান্নী

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১০: ২৬
বিজ্ঞাপন