ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ফটোগ্রাফির জগতে জয়িতা তৃষা নিজের এক অনন্য অবস্থান গড়েছেন বিগত কয়েক বছরে। আজ ৩০ নভেম্বর তাঁর জন্মদিনে হাল ফ্যাশনের পক্ষ থেকে রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। দেশের সুপরিচিত আলোকচিত্রী জয়িতা তৃষার ছবি যেন জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় চোখের সামনে। নিজেকে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারই বলেন তিনি। তাঁর তোলা ছবিগুলো দেখলে চেনা যায়। আলোর ব্যবহার, কালার প্যালেট আর মডেল বা বিষয়বস্তুর উপস্থাপনায় তিনি নিজের একটি আলাদা সিগনেচার স্টাইল গড়ে তুলেছেন। তাই পোর্ট্রেট ঘরানার ফ্যাশন ফটোগ্রাফি হোক আর স্ট্রিট ফটোগ্রাফি, সব ক্ষেত্রে জয়িতার রয়েছে দৃপ্ত পদচারণ। শুরুটা ফটোগ্রাফার বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ২০০৩ সালে, ইয়াশিকার ফিল্ম ক্যামেরা দিয়ে। প্রথমে স্ট্রিট ফটোগ্রাফি আর ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফিই তাঁর কমফোর্ট জোন আর কাজের ক্ষেত্র ছিল। ফটোসাংবাদিকতাও করেছেন। পরবর্তী সময়ে বেশ কিছুদিন বিরতি দিয়ে, বিভিন্ন চড়াই–উতরাই পেরিয়ে ২০১৭ সালে আবার শুরু করেন ছবি তোলা। ইনস্টাগ্রামে বিশাল অনুসারী তালিকার মানুষের কাছে সব সময় কাজের প্রশংসা পেতেন তিনি। এই জয়যাত্রায় নতুন গতি আসে বছরখানেক আগে ব্যালেরিনা থিমের একটি স্ট্রিট ফটোশুটের মাধ্যমে। ব্যালে নৃত্যশিল্পী মোবাশ্বিরা কামাল ইরার অনিন্দ্যসুন্দর হাওয়ায় ভেসে থাকা নাচের ভঙ্গিমার ছবিগুলো নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। আর প্রশংসায় ভেসে যান জয়িতা। বিশেষ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনের ছবিটি রীতিমতো আইকনিক হয়ে রয়ে গেছে। জয়িতা তৃষা কয়লাশ্রমিকদের নিয়েও একটি হৃদয়ছোঁয়া কাজ করেছেন। আর সেই সঙ্গে নজরকাড়া সব পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি তো আছেই। এ সময়ের অনেক জনপ্রিয় তারকা আর সুপরিচিত ফ্যাশন হাউস ও ফ্যাশন উদ্যোগের পছন্দের ফটোগ্রাফারের তালিকার শীর্ষে আছেন জয়িতা। তিনি বলছিলেন, ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ফটোগ্রাফি করতে চাইলে বা তাঁর পথে এগোতে চাইলে প্রথমত কারিগরি বিষয়গুলো ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। এরপর বিশ্বের স্বনামধন্য আলোকচিত্রীদের কাজ খুব খেয়াল করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ছবির ফ্রেমিং, আলোর কাজ আর মডেলের অভিব্যক্তি বা এক্সপ্রেশন খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেন তিনি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কাজের প্রতি ভালোবাসা জয়িতাকে এত দূর এনেছে। জয়িতার ছবি মানেই জীবনের জয়গান। এবারে তাঁর তোলা কিছু আলোচিত ছবি দেখে নেওয়া যাক। ছবিগুলো সবই জয়িতা তৃষার কাছ থেকে নেওয়া।