নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই স্মার্ট আংটি পরতে হয় আঙুলে। হৃৎস্পন্দন, পায়ের পদক্ষেপ, ঘুমের হিসাব, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, কত কিলোমিটার দৌড়ালেন, সব হিসাব থাকবে এই আংটিতে। সেন্সরের মাধ্যমে সব তথ্য চলে আসে এই আংটিতে। স্মার্ট ঘড়ির চেয়ে স্মার্ট আংটির ব্যবহার বেশ সুবিধাজনক। এমনটাই বলছেন অনেক ব্যবহারকারী। আকারে ছোট হওয়ায় খুব সহজে পরা যায়। পানিনিরোধক হওয়ায় ঘাম বা পানিতে কোনো সমস্যা হয় না, এ ছাড়া দীর্ঘ সময় চার্জ থাকে—প্রায় চার দিন পর্যন্ত। বাজারের সেরা কিছু স্মার্ট রিংয়ের তথ্য রইল হাল ফ্যাশনে।
অরা রিং
তাদের ট্যাগলাইন হচ্ছে দ্য রেভল্যুশনারি স্মার্ট রিং। ফিনল্যান্ডের এই হেলথ টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান ২০১৫ সালে বাজারে প্রথম নিয়ে আসে ফার্স্ট জেনারেশন স্মার্ট রিং। আসার পরেই বেশ আলোড়ন ফেলে এই রিং।
বলাই বাহুল্য, অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকৃতি হওয়ায় তা অ্যাপল ও ফিটবিটের স্মার্ট ঘড়িকে টেক্কা দিয়ে দেয়। অরার এই স্মার্ট রিং বাজারে আসার পর বাকিরাও ধীরে ধীরে স্মার্ট আংটি তৈরিতে আগ্রহ পায়। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে এই স্মার্ট রিংকে 'হান্ড্রেড বেস্ট ইনভেনশন অব ২০২০ এরার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএ লিগের বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের আঙুলে শোভা পায় এই অরা রিং।
অ্যামাজ ফিট হ্যালিও রিং
জনপ্রিয় ওয়ারেবল স্পোর্টস অ্যাকসেসরিজের মধ্যে অ্যামাজ ফিটের নাম চলে আসে প্রথমেই। তাদের হ্যালিও রিংয়ের সবচেয়ে বেশি যে অভিযোগ আসে, তা হচ্ছে এটির অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে দিতে হয় সাবস্ক্রিপশন ফি, ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়, সব আকৃতি সহজলভ্য না হওয়ায় অনেকের আঙুলেই তা পরা যায় না। তাই অ্যামাজ ফিটের স্মার্ট ওয়াচ জনপ্রিয় হলেও, তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি ব্র্যান্ডটি।
জি ম্যাক্স আর জিরো টু
সাশ্রয়ী দামে কেউ যদি স্মার্ট রিংয়ের অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাঁরা ব্যবহার করতে পারেন জি ম্যাক্সের স্মার্ট রিংটি। সুন্দর ডিজাইন ও সব সাইজ রয়েছে বাজারে, ওজন মাত্র ৪ দশমিক ৪ গ্রাম। ব্যায়াম, হাঁটা, হৃৎস্পন্দন, ঘুম, সাইকেলিং, সাঁতার, অক্সিজেনের তারতম্য সবই ধারণ হয়ে যায় এই ঘড়িতে। তবে মাঝে মাঝে তথ্য সঠিকভাবে রেকর্ড হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে ব্যবহারকারীদের মাঝে।
কলমি আর জিরো টু মিলিটারি গ্রেড স্মার্ট রিং
সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও বেশ ভালো মানের স্মার্ট রিং বলা হয় কলমি আর জিরো টু মিলিটারি গ্রেড স্মার্ট রিংকে। এটি ওজনেও বেশ হালকা। এর মধ্যে রয়েছে মোট ২০টি অপশন, যার মাধ্যমে প্রাত্যহিক সব অ্যাকটিভিটি মনিটর করা যায়।
স্যামসাং গ্যালাক্সি স্মার্ট রিং
এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত স্মার্ট রিং হচ্ছে গ্যালাক্সি স্মার্ট রিং, এ বছরের শেষের দিকে বাজারে আসবে এই স্মার্ট গ্যাজেটটি। তারা দাবি করছে, প্রায় নির্ভুলভাবে স্বাস্থ্যের সব তথ্য দেবে গ্যালাক্সি রিং। তবে শুরুতে শুধু স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরাই পাবেন এই সুবিধা। এর মধ্যে থাকবে এই আই ফিচার, কম ওজনের এই স্মার্ট রিংটি দেখতে হবে বেশ আকর্ষণীয়। গ্যাজেটপ্রেমীদের জন্য এই অত্যাধুনিক ডিভাইসটি হতে পারে পরবর্তী আকর্ষণ।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম ও অফিসিয়াল ওয়েবসাইট