স্মার্ট প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় রচনা করছে। স্মার্ট হোম থেকে শুরু করে পরিধানযোগ্য ডিভাইস—এই উদ্ভাবনগুলো শুধু আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও কার্যকর করছে তা নয়, বরং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে। বর্তমানে গ্রাহকদের মধ্যে স্মার্ট সমাধানের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফলে উচ্চমানের পণ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারীদের গুরুত্বও বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষ করে, পরিধানযোগ্য প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা স্বাস্থ্যসচেতন গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি উদ্ভাবনী নির্মাতাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এই প্রবণতাগুলো শুধু প্রযুক্তিপ্রেমীদেরই নয়, ব্যবসায়িক পেশাজীবীদের জন্যও এক বিশাল সম্ভাবনার জগৎ তৈরি করছে। জেনে নিই ২০টি স্মার্ট লাইফস্টাইল ট্রেন্ড, যা আমাদের জীবনযাপন ও কাজের ধরনকে নতুন রূপ দিতে পারে।
ভাবুন, আপনার ঘরের তাপমাত্রা আপনি নিয়ন্ত্রণে করছেন এক ক্লিকেই। ঘরের আলো জ্বলবে আপনার মনের মেজাজ অনুযায়ী, এমনকি আপনার ঘরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে সব সময় নজরদারিতে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে। এটাই স্মার্ট হোমের জাদু!
স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট দিয়ে আপনি ফোনেই তাপমাত্রা সামলাতে পারেন। অন্যদিকে স্মার্ট লাইটিংয়ে রুমের আলো কেমন হবে, তা আপনি নিজে নির্ধারণ করতে পারেন। যেমন কাজ করার সময় উজ্জ্বল সাদা আলো। রাতের আরামদায়ক পরিবেশের জন্য হালকা হলুদ আলো। উৎসব বা পার্টির জন্য রঙিন আলো। আরও আছে! স্মার্ট লক, স্মার্ট প্লাগ যেকোনো ডিভাইস দূর থেকে চালু বা বন্ধ করা সম্ভব এবং হোম অটোমেশন হাবের সাহায্যে একত্রে সব ডিভাইস সহজে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
স্মার্ট ওয়াচ ও ফিটনেস ট্র্যাকার এখন স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে একটি আস্থার জায়গা। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিগুলো দ্বারা হার্টবিট, প্রতিদিন কত স্টেপ হাঁটলেন তার সংখ্যা এবং শরীরের কত ক্যালরি খরচ হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত তথ্যগুলোও জানা যায় একনজরে। অন্যদিকে এই ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীদের ফোনের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা কমাতেও সাহায্য করে। কারণ, এ ডিভাইসগুলোতে ইনকামিং কল, মেসেজ এবং ই–মেলের নোটিফিকেশনও পাওয়া যায়। ফলে ফোন চেক করার ঝামেলা ছাড়াই যুক্ত থাকা যায় সবার সঙ্গে।
পরিধেয় প্রযুক্তির আরেকটি আকর্ষণীয় ও মজার ব্যপার হলো, আজকাল পোশাক এমনকি গয়নার মতো আনুষঙ্গেও যুক্ত হয়েছে এমন স্মার্ট প্রযুক্তি। স্মার্ট পোশাক শরীরের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে এবং সঠিকভাবে বসতে সঠিকভাবে হাঁটার জন্য পরামর্শ দেয়। অন্যদিকে স্মার্ট গয়না শরীরের স্ট্রেস লেভেল পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারীকে বিশ্রাম নেওয়ার বা আরাম করার জন্য পরামর্শ দেয়।
ভাবুন তো, আপনি শীতে কম্বলের ভেতরে শুয়ে পড়েছেন রুমের লাইট বন্ধ না করই। অথচ কম্বলের ভেতর থেকে উঠতে ইচ্ছা করছে না। এই মুহূর্তে আপনার বাসায় যদি ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকে, তবে খুব সহজেই ভয়েস দিয়েই আপনি রুমের লাইট নিভিয়ে ফেলতে পারবেন। এ ছাড়া সোফাতে বসেই শুধু কথা বলার মাধ্যমে গান চালানো, রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করা বা লাইট অন-অফ করা যাচ্ছে। অ্যামাজনের অ্যালেক্সা বা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে এখন কথা বলার মাধ্যমেই অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
অ্যামাজন ইকো বা গুগল নেস্ট হাবের মতো স্মার্ট স্পিকার আপনার স্মার্ট বাসায় ব্যবহার করতে পারবেন। ভয়েস কমান্ড দিয়ে আপনি গান শুনতে, স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দৈনন্দিন কাজ আরও সহজ করতে পারবেন। স্মার্ট ডিসপ্লে ভিডিও কল বা ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্টের মতো ভিজ্যুয়াল ফিচার দিয়ে আরও সুবিধা দিচ্ছে। এখন ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রান্নাঘর থেকে শুরু করে গাড়িতেও! স্মার্ট ফ্রিজ বা ওভেনের মাধ্যমে রেসিপি দেখা বা রান্নার সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করা যেমন সহজ, তেমনি গাড়িতে বসে ভয়েস কমান্ড দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ বা পথনির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রযুক্তি এখন আমাদের স্বাস্থ্যসেবার ধরনও বদলে দিচ্ছে। স্মার্ট হেলথ ডিভাইস দিয়ে খুব সহজেই এখন আপনার ব্লাড প্রেশার ও শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়। এই ডিভাইসগুলো স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে স্বাস্থ্য–সংক্রান্ত ডেটা ট্র্যাক করে খুব সহজই। এই ডেটা চিকিৎসকদের সঙ্গে শেয়ার করে উন্নত চিকিৎসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া স্মার্ট প্রযুক্তি ফিটনেসভিত্তিক যন্ত্রপাতিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। স্মার্ট ট্রেডমিল, ডাম্বেল, জাম্প রোপ এবং বাইকের মতো যন্ত্রগুলো ব্যায়ামের সময় হার্টবিট, ক্যালরি খরচের মতো তথ্য ট্র্যাক করে যায়। স্মার্ট হেলথ প্রযুক্তি শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যসচেতনতা ও ফিটনেস অভ্যাসকে আরও কার্যকর করে তুলতে পারে।
বহির্বিশ্বের শহরে ভ্রমণ এখন আরও স্মার্ট ও সহজ। তবে আমাদের দেশেও বেশ কিছু ইলেকট্রিক স্কুটার ও বাইক মানুষ ব্যবহার করছেন, যা পরিবেশবান্ধব এবং ছোট দূরত্বে চলার সেরা বিকল্প। স্মার্টফোন অ্যাপ দিয়ে এগুলো ভাড়া নিয়ে সহজেই ব্যবহার করা যায়, যা যানজট কমাচ্ছে। যেমন ধরুন প্যারিস ও সান ফ্রান্সিসকোর মতো শহরগুলোতে ইলেকট্রিক স্কুটার ব্যাপক জনপ্রিয়। অন্যদিকে স্বয়ংচালিত গাড়ি বা সেলফ-ড্রাইভিং কার ভবিষ্যতের যাতায়াতব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তুলছে। এআই ও সেন্সরের সাহায্যে চালিত এই গাড়িগুলো নিরাপত্তা বাড়াতে, ট্রাফিক জ্যাম কমাতে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের চলাচল সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি বাস্তব জগতে ডিজিটাল তথ্যের মাধ্যমে গেম বা স্বাস্থ্য খাতের অভিজ্ঞতাকে আরও প্রাণবন্ত করছে। গেমিং, শিক্ষা, ব্যবসা ও স্বাস্থ্য খাতে এর ব্যবহার নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে।
গেমিংয়ে, পোকেমন গো (Pokemon GO) এ ক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। কীভাবে এআই মানুষকে বাস্তব জগতে ভার্চ্যুয়াল অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শারীরিক ও সামাজিকভাবে সক্রিয় করতে পারে, তা দেখিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে মার্জ কিউব-এর (Merge Cube) মতো সরঞ্জাম ছাত্রদের বিজ্ঞান ও ইতিহাসের মতো বিষয় আরও আকর্ষণীয়ভাবে শেখার সুযোগ দেয়। স্বাস্থ্য খাতে, একিউভেইন–এর (AccuVein) মতো পণ্য রোগীর ত্বকের ওপর শিরার মানচিত্র প্রদর্শন করে, ইনজেকশন দেওয়ার সময় আরও সঠিকভাবে সেটা সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তি জীবনযাত্রার নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনছে। এটি ফিটনেস, ভ্রমণ, সামাজিক যোগাযোগ ও শপিংকে আরও মজাদার ও সহজ করে তুলছে।
ফিটনেসে, ভিআর অ্যাপ্লিকেশন এমন মজার ওয়ার্কআউট অফার করছে, যা শরীরচর্চাকে আনন্দদায়ক করে তোলে। ব্যবহারকারীরা ভার্চ্যুয়াল ক্লাসে অংশ নিতে পারেন এবং তাঁদের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারেন। ভ্রমণে ভিআর ব্যবহারকারীদের ভার্চ্যুয়ালি নতুন স্থান ও সংস্কৃতি অন্বেষণের সুযোগ দেয়।
স্মার্ট সিটি এমন একটি শহর, যেখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিকদের জীবনযাত্রা আরও সহজ ও টেকসই করা হয়েছে। ৫ মিনিটের শহর ধারণায় যেখানে নাগরিকদের সব সেবা—কাজ, বাজার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা—সবই তাঁদের বাড়ি থেকে ৫ মিনিটের হাঁটার মধ্যে থাকবে। উদাহরণস্বরূপ, প্যারিসে এই ধারণা বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে শহরের সেবা দ্রুত ও সহজে নাগরিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্মার্ট সিটিতে স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম, স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সব কিছুই হবে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। যেমন স্মার্ট ট্রাফিক লাইট শহরের যানজট কমাতে সাহায্য করছে, যেমনটি দেখা যায় বার্সেলোনা ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরে।
স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মূলত বর্জ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া আরও দক্ষ এবং পরিবেশবান্ধব করে তোলে। এতে আপনার বাসার ময়লা ফেলার বক্সে সেন্সর লাগানো থেকে। ফলে বক্সটি ভরে গেলেই শহরের কর্তৃপক্ষ তা জেনে যায় এবং তাৎক্ষণিক সেই বক্স সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এতে অপচয় কমে, বর্জ্য সংগ্রহের সময়সূচি আরও কার্যকর হয় এবং শহরের পরিবেশ পরিষ্কার থাকে। ইতিমধ্যেই বার্সেলোনা ও প্যারিস শহরে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্মার্ট গ্রিড হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিতরণের নতুন পদ্ধতি। এটি বিদ্যুৎ ব্যবহার মনিটর করে এবং চাহিদা অনুযায়ী তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করে, যাতে বিদ্যুৎ অপচয় কমে এবং এর ব্যবহার আরও দক্ষভাবে হয়।
এই প্রযুক্তি সূর্য এবং বায়ুশক্তিকে সহজে বিদ্যুতে রূপান্তর করে, যা বাসা ও অফিসে ব্যবহারের জন্য উপযোগী হয়। এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শক্তি সঞ্চয় এবং ব্যবহার করা সম্ভব হয়। স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাঁদের বিদ্যুতের ব্যবহার রিয়েল টাইমে দেখতে পান, যা তাঁদের খরচ কমাতে সাহায্য করে। স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি এখন অনেক দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কৃষিতে আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো এবং অপচয় কমানোর সম্ভব। এতে কৃষকেরা স্বয়ংক্রিয় সেচ এবং ড্রোনপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মাটি, আবহাওয়া ও ফসলের স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। ফলে পানি, সার ও অন্যান্য উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়, যা ফসলের গুণগত মান এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে স্মার্ট কৃষি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা কৃষিকে আরও দক্ষ, লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব করে তুলছে।
থ্রিডি প্রিন্টার এমন একটি যন্ত্র, যা জটিল ডিজাইন ও মডেল তৈরি করতে সাহায্য করে আর এতে সাধারণত কোনো মোল্ড বা বিশেষ টুলের প্রয়োজন হয় না। এর মাধ্যমে উৎপাদনের সময় ও খরচ অনেক কমানো যায়। ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের মতামত বা বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে ডিজাইন দ্রুত পরিবর্তন করতে পারেন, যা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তাঁদের গতিশীলতা বৃদ্ধি করে। একটি বড় সুবিধা হলো, থ্রিডি প্রিন্টিং বিশেষ প্রয়োজনের জন্য কাস্টম সমাধান তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্য খাতে এটি কাস্টম প্রস্থেটিকস ও ইমপ্লান্ট তৈরি করতে ব্যবহার হয়, যা রোগীর জন্য আরামদায়ক ও কার্যকর হয়।
দুবাই ও ভারতে একটি পূর্ণাঙ্গ বাড়ি থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ করেছে। ধারণা করা যায়, ভবিষ্যতে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত এবং সাশ্রয়ীভাবে বাড়ি নির্মাণ সম্ভব হবে।
বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন নিরাপত্তার জন্য আস্থার জায়গা। ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে এই প্রযুক্তি। এটি ব্যক্তির বিশেষ শারীরিক বৈশিষ্ট্য যেমন আঙুলের ছাপ, মুখ চেনা বা আইরিশ স্ক্যান ব্যবহার করে তথ্য অ্যাকসেস করা হয়। ব্যাংকিংয়ে, গ্রাহকেরা পাসওয়ার্ড ছাড়াই নিরাপদে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারেন, যা প্রতারণা কমাতে সহায়তা করে এবং সুবিধাজনক হয়। স্বাস্থ্যসেবায় এটি রোগীর তথ্য নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে, নিশ্চিত করে যে শুধু অনুমোদিত ব্যক্তি গোপন মেডিকেল রেকর্ড অ্যাকসেস করতে পারবেন। ফলে গোপনীয়তা ও নিয়মাবলির প্রতি সম্মান বৃদ্ধি পায়।
ছবি: পেকজেলসডটকম