বেড রটিং: জেন–জিদের নতুন অদ্ভুতুড়ে ট্রেন্ড
শেয়ার করুন
ফলো করুন

টিকটকেই প্রথম ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হওয়া এই ট্রেন্ড এখন জেন–জিদের জীবনের আলোচিত অংশ। কেউ একে সেলফ কেয়ারের অংশ হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, মানসিক ক্লান্তি থেকে মুক্তির সহজ উপায় হলো বিছানায় শুয়ে অলস সময় কাটানো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস অতিরিক্ত হলে তা ঘুমের সমস্যা, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও উদ্বেগ বা বিষণ্নতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বেড রটিং উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়িয়ে তুলতে পারে
বেড রটিং উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়িয়ে তুলতে পারে

অর্থাৎ ‘বেড রটিং’ জেন–জিদের কাছে স্বস্তির সময় হলেও মাত্রাতিরিক্ত হলে তা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে টিকটকে এটা এতটাই ভাইরাল যে কেউ ইচ্ছানুযায়ী সারা দিন বিছানায় পড়ে থাকে ঘুমানো ছাড়া, খাওয়া, টিভি দেখা বা মুঠোফোনে স্ক্রলিং করে সময় কাটায়।

বিজ্ঞাপন

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিকশনারিডটকমে ‘বেড রটিং’ শব্দটি যুক্ত হয়। মনোরোগবিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লান্তি বা বার্নআউট কাটিয়ে উঠতে মাঝেমধে৵ এই ‘কর্মহীন’ দিন উপকারী হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যস্ততা বা সামাজিক চাপের যুগে নিজের যত্নের সহজ ও গ্রহণযোগ্য উপায় হিসেবেও এটিকে দেখা হচ্ছে। নিজেকে ট্রিট দেওয়া এখনকার লাইফস্টাইলের অংশ হয়ে উঠেছে।

অতিরিক্ত ‘বেড রটিং’ শারীরিক কার্যক্রম কমিয়ে দেয়
অতিরিক্ত ‘বেড রটিং’ শারীরিক কার্যক্রম কমিয়ে দেয়

তবে সতর্কতা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ‘বেড রটিং’ শারীরিক কার্যক্রম কমিয়ে দেয়, মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এবং পেশিশক্তি ও মেটাবলিজমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঘুমবিশেষজ্ঞদের মতে, ‘মডারেশন ইজ দ্য কি’। কারণ, এ ধরনের অভ্যাস অতিরিক্ত হলে তা ডিপ্রেশন, উদ্বেগ বা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

যেভাবে বেড রটিং স্বাস্থ্যকর হতে পারে

সপ্তাহে নির্দিষ্ট এক দিন (২-৩ ঘণ্টা) সিনেমা দেখা বা মেডিটেশন করতে পারেন বিছানায় শুয়ে। বাকি দিনগুলোতে ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন বা স্ক্রিন ব্যবহার সীমিত করুন, যাতে ঘুমের আগে মন শান্ত হতে পারে।

‘বেড রটিং’ চাপমুক্তির একটি আধুনিক ট্রেন্ড; তবে অতিরিক্ত ভাল নয়
‘বেড রটিং’ চাপমুক্তির একটি আধুনিক ট্রেন্ড; তবে অতিরিক্ত ভাল নয়

‘বেড রটিং’ চাপমুক্তির একটি আধুনিক ট্রেন্ড, যা মাঝেমধ্যে আমাদের মানসিক শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে। তবে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার স্বার্থে এটিকে সীমাবদ্ধ ও সচেতনভাবে চর্চা করা জরুরি। আর যদি মনে হয় এটি অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে বা মানসিক চাপ আরও বাড়াচ্ছে, তবে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া উচিত।

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬: ০০
বিজ্ঞাপন