শেখ সাদীর সেই গল্পের কথা মনে আছে? নিজের সঙ্গে সঙ্গে পোশাককেও খাবার খাওয়াচ্ছিলেন তিনি। আমরা অবশ্য কিছু না ভেবেই বা ইচ্ছা না থাকলেও নিজের পোশাককে খাইয়ে ফেলি অনেক কিছু। এই যেমন আমের কথাই ধরুন। আমের ভরা মৌসুমে নিজের সঙ্গে সঙ্গে নিজের পোশাককেও আম খাইয়ে ফেলি আমরা। এরপর সেই দাগ নিয়ে পড়ি বিড়ম্বনায়। আমের রস কাপড়ে পড়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো কীভাবে এই দাগ সহজে দূর করবেন।
১. দ্রুত পদক্ষেপ নিন
ফলের দাগ যতটা তাজা থাকবে, তত সহজে উঠবে। একটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে রসটা যতটা সম্ভব মুছে ফেলুন। ঘষবেন না। এতে দাগ আরো ছড়িয়ে যেতে পারে।
২. ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
কাপড়ের পেছনের দিক থেকে সজোরে ঠান্ডা পানির ধারা ঢেলে দিন, বা ট্যাপ জোরে ছেড়ে রাখুন। এতে দাগ কাপড় থেকে বাইরে বেরিয়ে আসবে।
৩. দাগ পরিষ্কারের জন্য প্রাথমিক কিছু অ্যাকশন নিন
স্টেইন রিমুভার জাতীয় পণ্য যেমন ভ্যানিশ বা অক্সি অ্যাকশনের মতো কিছু ব্যবহার করে দাগের ওপর আলতো করে ঘষুন।
তরল লন্ড্রি ডিটারজেন্ট দাগের ওপর লাগিয়ে হালকা করে ঘষুন।
সাদা ভিনেগার এবং পানি সমপরিমাণ মিশিয়ে দাগে লাগান।
সাদা কাপড় হলে ব্লিচিং পাউডার লাগিয়ে রাখুন অল্প করে দশ মিনিট।
৪. ভিজিয়ে রাখুন
এক ঘন্টা ধরে ঠান্ডা পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে পোশাকটি ভিজিয়ে রাখুন।
৫. সাধারণভাবে ধুয়ে ফেলুন
পোশাকের ট্যাগ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে ধুয়ে ফেলুন।
৬. রোদে শুকানো
যদি দাগ পুরোপুরি না ওঠে, তবে রোদে শুকাতে দিন। সূর্যালোক প্রাকৃতিকভাবে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা
ঘষবেন না। ঘষলে দাগ আরও গভীরে চলে যেতে পারে।
সরাসরি গরম পানি দেবেন না দাগে। এতে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়ে দাগ বসে যাবে।
প্রথমে অল্প জায়গা জুড়ে টেস্ট করুন: যেকোনো নতুন পরিষ্কারক পণ্য ব্যবহারের আগে কাপড়ে্র এমন অংশে ব্যবহার করে দেখুন, যা প্রথমেই চোখে পড়ে না।
সংবেদনশীল কাপড় হলে বেশি সাবধান হন। যদি কাপড়টি নরম বা দামী হয়, তবে পেশাদার ক্লিনার্সের দোকানে নিয়ে যাওয়া ভালো।
পুরোনো ও শক্ত দাগ হলে একাধিকবার ধুয়ে নিতে হতে পারে।
আমের দিনে একটু আধটু দাগ তো লাগবেই। তাই খুব বেশি স্পেশাল আর ধবধবে পোশাক পরে আম না খাওয়াই ভালো। আর যদি দাগ লেগেই যায়, তবে এই পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করে দেখুন।
ছবি: পেকজেলস ও ইন্সটাগ্রাম