বলা হয় হয় কপালেই ভাগ্য লেখা থাকে। এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি না থাকলেও আমরা কপালেই বিশ্বাসী। এগুলো মিথ নয় বরং তিন হাজার বছর আগেও মানুষের কপাল, নাক, ঠোঁট দেখে তার কপালে কী আছে জানা যেত। চলুন তাহলে জেনে নেই কোন ধরনের কপালের লোকের ভাগ্য ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হয়।
বড় কপাল
বড় কপালের লোকেরা মাল্টিটাস্কার হয়। তারা একসঙ্গে অনেক ধরনের কাজ করতে পারে। মাইন্ডসেট গোছানো হওয়ায় তারা ভালো পরামর্শ দিতে পারে। কাজে ও চিন্তায় সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকে বড় কপালের মানুষেরা। তারা নেতা হয় অনেক সময়ই। জীবনে বিখ্যাত হয় অনেকেই। তবে বেশি রাগী বলে প্রায়ই প্রেমভাগ্য ভালো হয় না এদের।
ছোট কপাল
ছোট কপালের লোকেরা মিশুক প্রকৃতির হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের চেয়ে হৃদয় তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। খারাপ সময়েও নিজেকে দ্রুত সামলে নিতে পারে তারা।
আবেগগুলো নিজের ভেতরই রাখতে পছন্দ করেন সরু কপালের মানুষরা। বিনয়ী ও বিশ্বাসযোগ্য মানুষ বলে এমন লোকেদের সচরাচর সবাই পছন্দ করে। ছোট কপালের মানুষেরা অনেক সময় খুব বড় কিছু করে ফেলেন না। কিন্তু সুখে-শান্তিতে ভালো থাকে প্রায়ই।
কার্ভড শেপ
এরা খুব বন্ধুসুলভ হয়। আশেপাশের মানুষকে উজ্জীবিত রাখতে ওস্তাদ তারা। নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অতি আশাবাদী স্বভাবের মানুষ তারা।
অন্যদের স্বপ্ন পূরণ কিংবা লক্ষ্যে পৌঁছাতেও উৎসাহ দিয়ে থাকে, আর নিজেও সেদিকে এগিয়ে যায়। তারা শান্ত থেকে কৌশলে যেকোনো সমস্যা এমনকি সামাজিক সমস্যার সমাধানও করতে পারে। এক কথায় সফল বলা চলে এদের।
এম আকৃতির কপাল
আর্টিস্টিক মানসিকতার হয়ে থাকে এমন কপালের অধিকারীরা । আধুনিকতার ছোঁয়া আর আবেগ দুটোর সংমিশ্রণ তাদের কাজে ফুটে ওঠে। ড্রেসিং সেন্স ভালো হয়। আশেপাশের লোকজন তাদের প্রতি মুগ্ধ থাকে।
অন্যদের ভুল দ্রুত ক্ষমা করে দেয় তারা । তাই প্রেম আর বিয়েতে বেশ সফল হয়। কাজের বেলায় ছোট ছোট ক্ষেত্রেও দারুণ মনোযোগী হয়ে থাকে তারা । তবে পরিবার ও ভালোবাসার মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল এই মানুষেরা নিজের ও আশেপাশের মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
সূত্র: ভেরি ওয়েল ফিট
ছবি: পেকজেলস ডট কম