ডিম ছুড়ে মারলে কী হয়? যুগে যুগে বিশ্বজুড়ে ডিম ছোড়া বা এগিং কালচার প্রচলিত। আর এ নিয়ে আছে মজার মজার সব তথ্য।
বহু যুগ আগে থেকেই কারো প্রতি ক্ষোভ প্রকাশে, কাউকে হেনস্থা করতে ডিম ছুড়ে মারা বা এগিং-এর কালচার আছে।
১. সাধারণত কাঁচা ডিম ব্যবহার করা হয়, তবে কখনো সেদ্ধ বা পচা ডিমও ছোড়া হয়।
২. প্রতিবাদ হিসেবে ব্যবহার হয় ডিম। রাজনীতিবিদদের দিকে ডিম ছোড়া একধরনের পরিচিত প্রতিবাদ। যুগে যুগে বিভিন্ন দেশে ডিম ছুড়ে মারা হয়েছে বিভিন্ন আলোচিত ব্যক্তি ও তারকাদের দিকেও। আর সেটিও প্রতিবাদ হিসেবে।
৩. ডিম ছোড়ার শিকার হলে মানুষ ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারে। সাধারণত এ নিয়ে মামলা হয় সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর বা ত্রাস সৃষ্টির জন্য। আঘাত হলে অভিযুক্তদের মারধর বা হামলার অভিযোগে জরিমানা বা শাস্তি হতে পারে।
৪. বিশ্বজুড়ে বহু রাজনীতিবিদ ও জনসমক্ষে থাকা ব্যক্তিকে ডিম ছোড়া হয়েছে। যেমন—ডেভিড ক্যামেরন, আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, এড মিলিব্যান্ড, রাজা তৃতীয় চার্লস , নাইজেল ফারাজ, ফ্রেজার অ্যানিং, জুলিয়া গিলার্ড প্রমুখ।
৫. ১৯১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিলি হিউজের দিকে ছোড়া একটি ডিম থেকে কমনওয়েলথ পুলিশ গঠনের সূচনা হয়
৬. ১৯৭০ সালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসনের মুখে কাঁচা ডিম লাগে। এটি এক আলোচিয় ঘটনা
১২. রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ১৯৮৬ সালে কমনওয়েলথ দেশ নিউজিল্যান্ড সফরের সময় প্রতিবাদ হিসেবে ডিম মারা হয়েছিল। তিনি অবশ্য এটি হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি
৭. ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ড ব্যাংক (AIB) এর ভবনে ডিম ছোড়া হয় অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিবাদে। এটি এক বিশাল বিক্ষোভে পরিণোত হয়েছিল।
৮. উৎসব ও রীতিতে ডিম ছোড়া: কিছু দেশে জন্মদিন বা উৎসবে মজার অংশ হিসেবেও ডিম ছোড়া হয়।
৯. ব্রাজিলে কারও জন্মদিনে মাথায় ডিম ছোড়া হয়, এরপর ময়দা ঢালা হয়—মানে মাথার উপরেই যেন কেক বানানো হচ্ছে।
১০. মেক্সিকোতে ডিমভর্তি খোলস মাথায় ভাঙা হয় জন্মদিনে শুভকামনা জানানোর জন্য। একে কাসকারোনেস বলা হয়
১১. যুক্তরাজ্যে হ্যালোউইনের সময় কিশোররা বাড়িতে ডিম ছোড়ে। এজন্য অনেক সুপারমার্কেট ওই সময়ে ১৬ বছরের নিচে কাউকে ডিম বিক্রি করে না।
সূত্র: উইকিপিডিয়া ও দ্য গার্ডিয়ান
ছবি: জেমিনি এআই, উইকিপিডিয়া ও ইন্সটাগ্রাম