শত বছরের ঐতিহ্যবাহী চাতালে ধান শুকানোর গল্প
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বিশাল এলাকাজুড়ে শান বাঁধানো মেঝে। সেখানে শত বছর ধরে সনাতন কায়দায় নতুন কাটা ধান শুকানো হয়। এই ছবিগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী চাতালের কর্মব্যস্ত দিনগুলোর গল্প বলছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে চাতালশ্রমিকেরা ধান শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করেন এখানে মৌসুমজুড়ে। এ শ্রমিকদের এক বড় অংশ নারী। এ সময়ে তাঁরা সবাই চাতালেই দিন যাপন করেন পরিবার নিয়ে। চাতালশ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশা আর দাদনজনিত বঞ্চনার ইতিহাস তাঁদের দিনযাপনের অংশ হয়ে গেছে। তবু সোনালি ধান শুকানোর কাজ তাঁদের মনে আশা জাগায় একটু ভালো থাকার। এখন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে গেছে বেশির ভাগ চালকল। তবু দেশের ধানসমৃদ্ধ অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চাতাল এখনো কর্মব্যস্ত আর প্রাণচঞ্চল। ছবিগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চাতালের। ছবির কারিগর কাজী আরিফুজ্জামান রোজেল

বিজ্ঞাপন
১/১৫
সারা বছর কাজ চললেও এই নতুন ধানের দিনে অত্যন্ত কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে ব্রাহ্মোনবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী  চাতাল।
সারা বছর কাজ চললেও এই নতুন ধানের দিনে অত্যন্ত কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে ব্রাহ্মোনবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী চাতাল।
বিজ্ঞাপন
২/১৫
সারা দেশ থেকে এ সময় চাতালে শ্রমিকেরা আসেন কাজ করতে। সারাদিন চলে ধান শুকানোর কাজ।
সারা দেশ থেকে এ সময় চাতালে শ্রমিকেরা আসেন কাজ করতে। সারাদিন চলে ধান শুকানোর কাজ।
৩/১৫
চাতালের শ্রমিকদের এক বড় অংশ নারী। পরিবারের সবাই মিলে কাজ করেন এখানে।
চাতালের শ্রমিকদের এক বড় অংশ নারী। পরিবারের সবাই মিলে কাজ করেন এখানে।
৪/১৫
সনাতন কায়দায় সারা দিন হাঁড়ভাঙা পরিশ্রম করে ধান শুকানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন শ্রমিকেরা।
সনাতন কায়দায় সারা দিন হাঁড়ভাঙা পরিশ্রম করে ধান শুকানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন শ্রমিকেরা।
৫/১৫
শুকিয়ে এভাবে ভাগ ভাগ করে রাখা হয় ধান। পাখির চোখে দেখতে বড়ই মনোহর সে দৃশ্য।
শুকিয়ে এভাবে ভাগ ভাগ করে রাখা হয় ধান। পাখির চোখে দেখতে বড়ই মনোহর সে দৃশ্য।
৬/১৫
কড়া রোদে সারা দিন ধরে হাতে চালিত মইয়ের মতো বিভিন্ন সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে ধান শুকানোর কাজগুলো করা হয়।
কড়া রোদে সারা দিন ধরে হাতে চালিত মইয়ের মতো বিভিন্ন সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে ধান শুকানোর কাজগুলো করা হয়।
৭/১৫
চাতালে পরিবার নিয়ে থাকা-খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ যেন আরেকটি  মৌসুমি সংসার পেতে বসা।
চাতালে পরিবার নিয়ে থাকা-খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ যেন আরেকটি মৌসুমি সংসার পেতে বসা।
৮/১৫
পায়রাগুলো উড়ে উড়ে ধান খায় খুটে খুটে। টনকে টন সোনালি ধান থেকে পাই আমরা চাল। আর তাতে মিশে থাকে চাতালের শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমের অবদান।
পায়রাগুলো উড়ে উড়ে ধান খায় খুটে খুটে। টনকে টন সোনালি ধান থেকে পাই আমরা চাল। আর তাতে মিশে থাকে চাতালের শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমের অবদান।
৯/১৫
সারা দিনের কাজ শেষে শুকানো ধানের স্তুপের সংখ্যা বাড়ে। আর এর সঙ্গে বাড়ে শ্রমিকদের মনে একটু স্বচ্ছলতার আশা।
সারা দিনের কাজ শেষে শুকানো ধানের স্তুপের সংখ্যা বাড়ে। আর এর সঙ্গে বাড়ে শ্রমিকদের মনে একটু স্বচ্ছলতার আশা।
১০/১৫
মাথার ওপরে ঝকঝকে আকাশ আর গনগনে সূর্যের তাপ। সে তাপেই ধান শুকিয়ে তৈরি হতে থাকে চাল।
মাথার ওপরে ঝকঝকে আকাশ আর গনগনে সূর্যের তাপ। সে তাপেই ধান শুকিয়ে তৈরি হতে থাকে চাল।
১১/১৫
শান বাঁধানো চাতালে ধান এভাবে স্তুপ করে রাখেন শ্রমিকেরা।
শান বাঁধানো চাতালে ধান এভাবে স্তুপ করে রাখেন শ্রমিকেরা।
১২/১৫
পশুপাখির উপদ্রব আর আচমকা বৃষ্টির বিপদ এড়াতে এভাবে ঢেকে রাখা হয় ভাগ করে রাখা ধানের স্তুপ।
পশুপাখির উপদ্রব আর আচমকা বৃষ্টির বিপদ এড়াতে এভাবে ঢেকে রাখা হয় ভাগ করে রাখা ধানের স্তুপ।
১৩/১৫
মৌসুম জুড়ে এভাবে চাতালে নিরলস কাজ করতে থাকেন শ্রমিকেরা।
মৌসুম জুড়ে এভাবে চাতালে নিরলস কাজ করতে থাকেন শ্রমিকেরা।
১৪/১৫
দিন ফুরিয়ে আসে, কিন্তু কাজ ফুরায় না।
দিন ফুরিয়ে আসে, কিন্তু কাজ ফুরায় না।
১৫/১৫
পাখির চোখে ধানের রাশি দেখেই বোঝা যায় এই চাতাল শ্রমিকেরা আমাদের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখছেন। তাঁদের নামমাত্র পারিশ্রমিক আর দাদনজনিত দুর্দশা নিয়ে সোচ্চার হতে হবে আমাদের সবাইকে।
পাখির চোখে ধানের রাশি দেখেই বোঝা যায় এই চাতাল শ্রমিকেরা আমাদের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখছেন। তাঁদের নামমাত্র পারিশ্রমিক আর দাদনজনিত দুর্দশা নিয়ে সোচ্চার হতে হবে আমাদের সবাইকে।
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬: ০০
বিজ্ঞাপন