আত্মবিশ্বাসী বক্তা হতে চাইলে বাদ দিতে হবে যে ছয়টি অভ্যাস
শেয়ার করুন
ফলো করুন

যদিও এই ব্যাপার বেশ কঠিন। কেবল দীর্ঘদিনের অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই একজন নিজেকে ভালো ও আত্মবিশ্বাসী বক্তা হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। তবে বেশ কিছু ছোটখাটো অভ্যাস রয়েছে, যেগুলো আমরা কথা বলার সময় প্রায়ই করে থাকি। এই অভ্যাসগুলোই যেন আমাদের আত্মবিশ্বাসকে কেড়ে নেয়। একবার এসব অভ্যাস বাদ দিতে পারলেই আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন ভালো বক্তা। চলুন জেনে নেওয়া যাক আত্মবিশ্বাসী বক্তা হতে গেলে যে অভ্যাসগুলোর ইতি টানতে হবে।

১. নিজের ওপর বিশ্বাস না রাখা

আপনি যা–ই করেন, নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকলে আপনি তা সুন্দরভাবে নিজের বক্তব্য ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না। আত্মবিশ্বাসী বক্তারা সব সময় নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে কথা বলেন। এতে তাঁদের বার্তাও কার্যকরভাবে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছায়। তাই নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে কথা বলতে শুরু করুন। আপনার ভাবতে হবে আপনি যা বলছেন তা শ্রোতাদের জন্য মূল্যবান এবং আপনি তাঁদের মুগ্ধ করতে পারছেন। নিজের প্রতি বিশ্বাসই একজন সুবক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র।

২. অতিরিক্ত নড়াচড়া

আপনি কি জানেন শারীরিক অঙ্গভঙ্গি বক্তার আত্মবিশ্বাসের স্তরকে তুলে ধরতে পারে। আপনি যখন মঞ্চে থাকেন, আপনার প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি শ্রোতাদের কাছে একধরনের সংকেত প্রদান করে। অতিরিক্ত নড়াচড়া শ্রোতাদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এর চেয়েও বড় কথা এতে আপনাকে অনেক বেশি বিচলিত দেখায়। আত্মবিশ্বাসী বক্তারা তাঁদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজকে কথার পরিপূরক হিসেবে কাজে লাগান। তাঁরা সব সময় উদ্দেশ্যমূলক অঙ্গভঙ্গি করেন। তাই নিজের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যতটুকু অঙ্গভঙ্গি দরকার, ততটুকুই করুন।

বিজ্ঞাপন

৩. চোখ এড়িয়ে কথা বলা

চোখ যোগাযোগের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আপনি যখন কথা বলছেন, তখন চোখকে ব্যবহার করুন। এতে শ্রোতাদের সঙ্গে একধরনের সংযোগ স্থাপন হয়। তাঁরা আপনার কথা আরও মনোযোগ দিয়ে শুনতে শুরু করে। এটিই আপনার সুপ্ত আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে। আত্মবিশ্বাসী বক্তারা খুব ভালোভাবেই এটিকে রপ্ত করেন। তাই তাঁরা বক্তৃতা দেওয়ার সময় সর্বদা কথা ও চোখের একটি মিথস্ক্রিয়া ঘটান।

৪. শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া উপেক্ষা করা

অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা শুধু একমুখী কথা বলেন। শ্রোতারা কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, এতে তাঁদের কিছুই যায় আসে না। এই ধরনের বক্তৃতা শ্রুতিমধুর হয় না। এই একমুখী ঘরানার বক্তৃতা শ্রোতাদের মধ্যে বিরক্তি এনে দিতে পারে। এভাবে কথা বললে অনেক সময় আপনাকে অহংকারীও মনে হতে পারে। তাই শ্রোতাদের অভিব্যক্তি ও প্রতিক্রিয়াগুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। সব সময় সতর্ক থাকুন শ্রোতারা কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। এর ওপর ভিত্তি করেই কথা বলা চালিয়ে যান। এতে আপনার বক্তব্য আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

৫. অনেক দ্রুত কথা বলা

জনসমক্ষে কথা বলতে গেলে সবাই একধরনের চাপ অনুভব করে। এটি অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। যার কারণেই অনেকে দ্রুত কথা বলে বক্তব্য শেষ করে দিতে চান। এটিই আপনার বক্তব্যকে দুর্বল করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী বক্তারা বোঝেন কীভাবে কথা বলতে হবে। তাঁরা সব সময় অতি দ্রুত কথা বলা এড়িয়ে চলেন এবং ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে কথা বলেন, যা তাঁদের বক্তৃতাকে বেশ শ্রুতিমধুর করে তোলে।

ছবি: উইকিমিডিয়াকমন্স ও পেকজেলসডটকম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ০০
বিজ্ঞাপন