সুউচ্চ শিরীষগাছে ঝুলে আছে অনিন্দ্যসুন্দর অর্কিড ফুল। এই অর্কিডকে ফক্সটেইল অর্কিড বলে। এটি দেখতে খ্যাঁকশিয়ালের লেজের মতো। শিয়ালের লেজও বলে। বড় বড় গাছে অযত্নে বেড়ে ওঠা এই পরজীবী উদ্ভিদ মুগ্ধ করে এমন ফুলের সৌন্দর্যে। বনবাদাড়ে, জঙ্গলে কিংবা নগরীর রাস্তায় বড় বড় গাছের ডালে এদের দেখা যায়।
গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকে বর্ষা অবধি এই অর্কিডের ফুল ফুটে থাকে। এসব অর্কিডের ফুল আকর্ষণীয় ও বর্ণময়। এর সৌরভও বিমোহিত করে। বিশেষত পুরোনো গাছগুলোই এদের প্রধান আশ্রয়। অথচ বৃক্ষ হন্তারকদের প্রধান টার্গেটই হলো পুরোনো গাছ। আমাদের প্রাকৃতিক বনভূমিগুলো ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় এ ধরনের অর্কিড এখন বলতে গেলে দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে।
প্রকৃতির নিয়মে ফোটা অযত্নে বনজঙ্গলে এটিই আমাদের সবচেয়ে সুন্দর অর্কিড। সাদা আর গোলাপি রঙের এই ফুলের পাশে গাঢ় লম্বা সবুজ পাতাগুলো ঝুলে থাকে বলে ফুলের সৌন্দর্য আরও বাড়ে।
জংলি হলেও এই ফুলের সৌন্দর্যই মানুষকে টেনেছে। তাই তো এখন জঙ্গল থেকে চলে এসেছে বাগানে। সেখান থেকে আমাদের বাসার ফুলদানিতে। এটা বিশ্বের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিকভাবে চাষ হওয়া অর্কিড। তবে এর আকর্ষণীয় ফুলের জন্য বিশ্বব্যাপী মানুষজন তাঁদের বাগানেও অর্কিড লাগাতে পছন্দ করেন। এদেশীয় অর্কিড ছাড়াও বিভিন্ন জংলি জাতের অর্কিডের দেখা মেলে।
ছবি: কমল দাশ
