
জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি নিয়ে মিম, ট্রল আর আলোচনার শেষ নেই। দেখতে যতই সুদর্শন বা সুন্দরী হোন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি ভালো হওয়া এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। একই কথা পাসপোর্ট বা ড্রাইভার লাইসেন্সসহ যেকোনো আইডির জন্যই সত্য। এদিকে নানা প্রয়োজনে এই ছবিগুলোই সবচেয়ে বেশি সামনে আসে সবার৷ তাই মেনে চলতে পারেন এই ১০টি কার্যকর পরামর্শ, যাতে এনআইডির ছবি ভালো হয়৷
ছবি তোলার আগে যা যা খেয়াল রাখবেন
১. লাইটিং
পরিচয়পত্রের ছবি ভালো হওয়ার জন্য ভালো, সব দিকে সমান লাইটিং প্রয়োজন।
২. ব্যাকগ্রাউন্ড
একটা প্লেন, হালকা ব্যাকগ্রাউন্ডই এর জন্য সবচেয়ে ভালো।

৩. পোশাক
যেহেতু লাইট ব্যাকগ্রাউন্ডই ব্যবহার করা হয়, তাই বুদ্ধি করে ডার্ক, কন্ট্রাস্ট কিছু পরলে ভালো। তবে তা যেন খুব রংচঙে না হয়। আর সাদা তো পরাই যাবে না। তাহলে ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে মিশে যাবেন আপনি।
৪. চুল দিয়ে যেন মুখ বা ভ্রু ঢেকে না থাকে। স্পাইক, মোহক বা খুব অদ্ভুত কোনো হেয়ারস্টাইল না হলেই ভালো।

৫. ন্যাচারাল মেক আপ ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ভারি মেকআপে এমন ছবি ভালো লাগবে না। আবার আপনাকে চিনতেও সমস্যা হতে পারে বেশি মেকআপ করা ছবি দিয়ে এনআইডি বানালে।
ছবি তোলার সময় যা যা মনে রাখবেন
৬. অভিব্যক্তি
এসব ছবিতে খুব হাসিমুখ বা সেলফির মতো পোজ বা পাউট করার অবকাশ নেই। স্বাভাবিক, নিউট্রাল অভিব্যক্তি প্রযোজ্য এখানে।

৭. চোখ খোলা থাকতে হবে, মুখ বন্ধ।
৮. ডানে, বামে মাথা না ঘুরিয়ে সামনে তাকিয়ে তুলতে হয় পরিচয়পত্রের ছবি।
৯. বড় শ্বাস নিয়ে ছেড়ে স্মিত হাসিমুখে ছবি তুলুন।
১০. কাঁধ ও শরীর স্বাভাবিকভাবে ফ্রি রেখে ছবি তুলুন। এমন যেন না মনে হয় যে আপনাকে কেউ শ্যুটিং স্কোয়াডে দাঁড় করিয়েছে বা এটি আপনার ফাইনাল ভাইভা।

এত সব নিয়ম মানতে গিয়ে মাঝে মাঝে ঘাবড়ে গিয়ে কেমন যেন একটা লুক আসে ছবিতে। তারপর একটি ছবি মানেই সারাজীবনের কান্না। তাই আপনি যদি চান যে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি দেখে আপনাকে চেনা যায়, তবে যতটা পারেন রিল্যাক্সড থাকুন।

ছবির প্রিন্টিং ও এডিটিংয়ের ওপরও নির্ভর করে কেমন হবে এই ছবি। তাই এনআইডির ছবি ভালো না হলেই ভাবা উচিত নয় যে আপনি দেখতে আসলে এমনই।
ছবি: জেমিনাই এআই