চলতি বছরের বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ৩ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯.৪ স্কোর নিয়ে ১২৭টি দেশের মাঝে ৮৪তম অবস্থানে আছে দেশটি। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্স থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। এর আগের সূচকে ১৯ স্কোর নিয়ে ১২৫টি দেশের মাঝে বাংলাদেশ ছিল ৮১তম অবস্থান। প্রতিবছর আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড আর জার্মানের ভেল্টহ্যাঙ্গারহেলফে যৌথভাবে এই সূচক প্রকাশ করে।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্সে কোনো স্কোর শূন্য হলে বুঝতে হবে সেখানে ক্ষুধার উপস্থিতি নেই। আর ১০০ হলে সে দেশে ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ।
এ বছর বাংলাদেশ স্কোর করেছে ১৯.৪ যা গত ১৯ বছরে সর্বোচ্চ। একটি দেশে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা ও শিশু মৃত্যুর হার- এই চারটি মানদণ্ড বিবেচনায় নিয়ে ক্ষুধার এই সূচক তৈরি করা হয়। স্কোর ১০ থেকে ১৯.৯ এর মাঝে থাকলে দেশটি মাঝারি মাত্রার ক্ষুধায় আক্রান্ত বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ এই ক্যাটাগরিতেই পড়েছে।
নতুন এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে শ্রীলংকা ও নেপাল । দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ৫৬ ও ৬৮ তম । সূচকে বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে আছে ভারত ও পাকিস্তান। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ, মোজাম্বিক ও টোগো তাদের ক্ষুধা সূচকে ২০১৬ সালের তুলনায় পাঁচ পয়েন্টের চেয়ে বেশি কমাতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪.৭।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১১. ৯ শতাংশ লোক অপুষ্টিতে ভুগছে। আর ২. ৯ শতাংশ বাচ্চা শিশু মৃত্যুর শিকার হচ্ছে। এছাড়া ২৩. ৬ শতাংশ ৫ বছরের ছোট বাচ্চারা তাদের বয়সের তুলনায় বাড়ছে কম। আর ১১ শতাংশ বাচ্চারা বয়স ও উচ্চতার তুলনায় ওজনে কম। এই সূচকে ক্ষুধার শীর্ষে রয়েছে বেলারুশ,বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, চিলি, চায়না আর কোস্টারিকা।
সূত্র: গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্স, ওয়েলথহাঙ্গারলাইফ