
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মায়েরই নিজের পছন্দের খাবার নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই! তাঁদের কাছে সন্তান, স্বজন, প্রিয়জন, আত্মীয়—সবার খাবারের প্রতি যত্ন আছে। শুধু খেয়াল নেই নিজের পছন্দ-অপছন্দের। প্রিয় স্বাদ হয়তো ভুলেই বসে আছেন! অথবা মনে থাকলেও গুরুত্ব দেন না।
মা দিবসে মাকে নিয়ে বাইরে খেতে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁর পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। জেনে নিতে হবে, জোর করে হলেও তাঁর প্রিয় পদ কী। কী খেতে তিনি ভালোবাসেন। ইচ্ছা করেন। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারেন না। মা যদি কাছেই থাকেন, তাহলে তাঁর আর আপনার সময় মিলিয়ে পরিকল্পনা করা যেতে পারে।

সকালের নাশতা এখন তৈরি করছে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট। এই দিনে মাকে উপহার দিতে পারেন দারুণ একটি সকাল। সব সকালের মতো ব্যস্ততায় নয়। আরাম করে মা এই সকালটাতে নাশতা উপভোগ করবেন আপনার সঙ্গে। শেষ পাতে কফির কাপে চুমুক দিয়ে তৃপ্তির নিশ্বাস ফেলবেন আপনার দিকে তাকিয়ে। সন্তানের মতো করে আর কে বোঝে মাকে! মায়ের বাসার আশপাশে তাই খুঁজে দেখা যেতে পারে ব্রেকফাস্টের আয়োজন।
এর বাইরে গ্লোরিয়া জিনস, রিজেন্সি, ধানসিঁড়ি, হোয়াইট ক্যানেরি, সই ৭, মেজ্জান হইলে আইয়ুন, কফি ওয়ার্ল্ড, হবনব ক্যাফেতে খোঁজ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ব্রেকফাস্ট বুফের জন্য চলে যেতে পারেন গ্রিন লাউঞ্জ কিংবা ওয়েস্টিনে।
লাঞ্চ কিংবা ডিনারে মায়ের সঙ্গে থাকার পরিকল্পনা থাকলে দুটি বিষয় নিয়ে ভাবতে পারেন। প্রথমটি হচ্ছে মায়ের পছন্দের খাবার পাওয়া যায় এমন কোনো রেস্তোরাঁ খোঁজা, আর দ্বিতীয়টি হলো মায়ের স্বাদ বুঝে নতুন কোনো খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়া। এখন আমাদের দেশে পাওয়া যাচ্ছে নানান দেশের বৈচিত্র্যময় সব পদ।

মা যদি অন্য কোনো দেশের খাবারের স্বাদ নিতে চেয়ে থাকেন কখনো, তাহলে তো কথাই নেই। শুধু মনে করে রেস্টুরেন্ট রিসেপশনে ফোন দিয়ে বুক করে রাখতে হবে। সঙ্গে মায়ের জন্য স্পেশাল একটি কেক অর্ডার করে রাখা যেতে পারে। এর সঙ্গে মায়াভরা একটি টেক্সট লিখে দিলে মা বুঝবেন ঠিক কতটা ভালোবাসা আপনার মনে জমে আছে তাঁর জন্য।
মাকে নিয়ে কফি খেতেও বেরিয়ে পড়া যেতে পারে। শান্ত-চুপচাপ কোনো ক্যাফেতে কাটানো যেতে পারে বিকেল থেকে সন্ধ্যা। হইচই আছে এমন কফি শপ এড়িয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। মাকে কত কথা মন খুলে বলার থাকে। কফির কাপ সামনে নিয়ে মাকে জানিয়ে দেওয়া যায় আপনার কতখানি জুড়ে মা আছেন!
অনেকের মা কাছে নেই। বাসার কলিং বেল দিলে দরজা খুলে দাঁড়ায় না মা! এমন যদি হয় মা আছেন অন্য শহরে, তাহলে খুঁজে দেখা যেতে পারে সেখানে হোম ডেলিভারি সার্ভিস নিয়ে কোন কোন শপ কাজ করছে। প্রয়োজনে কাছের মানুষ অথবা বন্ধুর সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে। মায়ের জন্যে পৌঁছে যাক প্রিয় খাবারের বক্স। নয়তো ফলের ঝুড়ি আর উপহার। সঙ্গে ছোট্ট একটা কার্ড অথবা নোট।
বিশেষ দিনে বিশেষভাবে বলা যেতেই পারে, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি মা!’ ভালোবাসা জানানোয় তো কোনো ক্ষতি নেই!
ছবি: আশনা হাবিব ভাবনার পারিবারিক অ্যালবাম ও পেকজেলসডটকম