জিবে জল আনা বরইয়ের আছে অবাক করা স্বাস্থ্যগুণ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

শিলনোড়ায় ছেঁচে টক বরই ভর্তা হোক আর ডাঁশা কচকচে মিষ্টি নারকেলি কুল হোক, এখন সময় যেন বরইয়ের। এ সময়ে দেশে ছোট-বড় টক–মিষ্টি বরই, নারকেলি কুলের সঙ্গে নতুন ধরনের বাণিজ্যিক উচ্চফলনশীল জাতের বলসুন্দরী কুল, বাউকুল, আপেল কুল পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র। লবণ-মরিচ মেখে কাঁচা–পাকা বরই এমনিতেই জিবে জল আনে। আবার বরই শুকিয়ে যুগ যুগ ধরে আমাদের উপমহাদেশে আচার, চাটনি বানানো হয়ে আসছে নানা মসলা আর গুড়ের সমন্বয়ে।

মজার ব্যাপার হলো, আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যে জন্মায় এ বরইয়ের নানা জাত। চাইনিজ ভেষজ ওষুধে সেই হাজার হাজার বছর ধরে শুকনা বরইয়ের ব্যবহার হয়ে আসছে। জুজুবে ফ্রুট বলে পরিচিত বরইজাতীয় ফলটির অন্তত ৩০০ জাতের সন্ধান পেয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা। অত্যন্ত উপাদেয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর রয়েছে অবাক করা সব স্বাস্থ্য গুণ।

বিজ্ঞাপন

বরইয়ের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো আছে যথেষ্ট পরিমাণে। এতে ভিটামিন সির পরিমাণ অনেক বেশি। ১০০ গ্রাম বরই খেলে ভিটামিন সির দৈনিক চাহিদার ৭৭ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। এতে আরও আছে ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেক্স। প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থেরও ভালো উৎস বরই। এতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস।

এই ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড় ভালো রাখে। এর পটাশিয়াম আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এত পুষ্টিকর এই ফলে পানি ও আঁশের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি অনেক কম ক্যালরিযুক্ত। এতে প্রায় ১০ শতাংশ আঁশ থাকে। এর ৮০ শতাংশই হচ্ছে জলীয় অংশ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ধরনের বরই খেতে পরামর্শ দেন ডায়েটেশিয়ানরা।

এতে চর্বির পরিমাণ একেবারে নেই বললেই চলে। পরিপাকতন্ত্রের যত্নেও বরই খুব উপকারী। এর অন্তত ৫০ শতাংশ শর্করা থাকে আঁশ হিসেবে। এতে উপস্থিত আঁশ বা ডায়টারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে প্রাকৃতিক পেকটিন থাকার কারণেও কোষ্ঠ পরিষ্কার করায় এর ভূমিকা আছে।

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ০০
বিজ্ঞাপন