
খটখটে রোদের তাপ বেশি নাকি সপ্তাহান্তের মাছের বাজারের উত্তাপ—সে ধাঁধার উত্তর দেওয়া মুশকিল। মাছ-মাংস তো বটেই, রোজ ডিমের মতো সহজলভ্য আমিষের জোগান দিতেই পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যাচ্ছে সবার। এদিকে চাষের মাছ আর ব্রয়লার মুরগিতে পাওয়া ক্ষতিকর সব উপাদান নিয়ে লেখা সংবাদ–প্রতিবেদনগুলো নিত্যদিন চোখ রাঙাচ্ছে। তা, খাবটা কী আমরা তবে! উত্তর মিলবে মুদির পসরায়।

বাজারে আছে নানা রকমের ডাল। দাম একেবারে কম না হলেও মুগ, মসুর, ছোলার ডাল, মটরের ডাল কিছুটা হলেও সুলভে আমিষ জোগাতে পারে। তবে প্রাণিজ আমিষের মতো সার্বিকভাবে সব প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পেতে হলে মিশ্র ডালের ব্যবহার অত্যাবশ্যক।

এমন দিনে তপ্ত দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে দুই-তিন পদের ডাল বেটে বড়া ভেজে নিলে সঙ্গে শাকসবজি হলেই দিব্যি চলে যায়। সেই বড়া আবার হাতে ডলে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ আর ধনেপাতা কুচি সহযোগে ভর্তা করে নেওয়া যায়। সঙ্গে এক টুকরা লেবু হলে তো কথাই নেই। পটোল, ঝিঙে, সজনে, করলা, লাউ, পেঁপে—যেকোনো সবজির ঝোল তরকারি বা মাখা চচ্চড়িতে শেষের দিকে দিয়ে দেওয়া যায় এই ডালের বড়া।
বাঙালির কমফোর্ট ফুডের তালিকায় ডালের বড়া শীর্ষের দিকেই আছে। খেতে যেমন আরাম, তেমন বানাতেও খুব ঝামেলা হয় না ডালের বড়া। মুগ, মসুর ও মটরের ডাল একত্রে বেটে ছোট ছোট জিপলক ব্যাগে রেখে দিলে যেকোনো সময় ঝটপট বড়া করে নেওয়া যায়। তবে ডাল বাটতে বেশি পানি দেওয়া যাবে না।

মিশ্র ডালের বড়া বানাতে মুগ, মসুর আর মটরের ডাল সমপরিমাণে ধুয়ে নিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখলে ভালো। নয়তো অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ভিজতে দিতে হবে।

এবার পানি ঝরিয়ে বেটে নিতে হবে। তারপর পছন্দমতো সামান্য আদা-বাটা, লবণ, হলুদ-মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে মেখে নিয়ে গরম ডুবো তেলে বড়া ভেজে নিলেই হলো। গরমাগরম এই বড়া ভাতের সঙ্গে এমনিতেই অমৃতসম। আবার ভর্তা করে বা তরকারিতে দিয়ে খেতেও দারুণ সুস্বাদু।