কাঁঠালে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে যা বিভিন্ন মুক্ত র্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ হ্রাস পায়। এসব অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ট্যানিন ও স্যাপোনিন, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুতে অবদান রাখে।
কাঁঠালে থাকা পুষ্টি উপাদান হৃদ্রোগের স্বাস্থ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। যেমন পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের প্রভাব প্রতিরোধ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
কাঁঠালে এমন যৌগ রয়েছে যা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। এই ভারসাম্য সুস্থ হৃৎপিণ্ড বজায় রাখার জন্য এবং এথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়া হলে হাড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত রোগ যেমন অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন কে হাড়ের বিপাকক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালে ভিটামিন এ-এর উপস্থিতি দৃষ্টিশক্তি ও চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। কর্নিয়ার স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এবং রাতকানা ও বয়সজনিত ম্যাকুলার অবক্ষয়ের মতো রোগ প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য।
কাঁঠালে লুটেইন ও জেক্সানথিনের মতো ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা ক্ষতিকারক আলোক তরঙ্গ থেকে চোখকে রক্ষা করে এবং ছানি ও অন্যান্য চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে পরিচিত।
যদিও কাঁঠাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, কিন্তু কারও কারও খেলে অনেক প্রতিকূলতা ও অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের রক্তসংক্রান্ত কোনো রোগ আছে, তাঁদেরও কাঁঠাল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
১. অ্যালার্জির রোগীদের কাঁঠাল খাওয়া ঠিক নয়।
২. যাঁরা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যাঁরা প্রি–ডায়াবেটিস সেকশনে রয়েছেন, বেশি কাঁঠাল খেলে তাঁদের ক্ষতি হওয়ার ভয় বেশি রয়েছে।
৩. অস্ত্রোপচারের পর অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
৪. গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খাওয়া কমাতে হবে। শিশুকে স্তন্যদান করার সময়ও এ ফল অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
সুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে দিনে কাঁঠালের দুই থেকে তিনটি কোয়া খাওয়া স্বাভাবিক। তবে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে এ ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইনস্টাগ্রাম