ইট পাথরের অট্টালিকার এই শহরে আমরা খুঁজে ফিরি একটু খোলামেলা জায়গা। এমনই এক মন ভালো করার মতো স্থান পূর্বাচলের তিনশ ফিট সড়ক। তবে মন ভালো করার পাশাপাশি উদরপূর্তি করতেও ঢুঁ মারতে পারেন এখানকার নীলা মার্কেটে। তুলতুলে, গরম গরম মিষ্টি, হাঁসের মাংস থেকে শুরু করে অনেক কিছুই পাওয়া যায় এই বাজারে। নগরবাসীর কাছে নীলা মার্কেটের জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলছে। চলুন আজ জেনে নিই নীলা মার্কেটের বিখ্যাত সব মিষ্টির কথা।
নীলা মার্কেটে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই নাকে আসে মিষ্টির সুগন্ধ। ছোট ছোট ছাউনি দেওয়া দোকান নিয়ে গড়ে ওঠা নীলা মার্কেটে কিছুদূর পরপরই দেখা মেলে মিষ্টির দোকানের। চমচম,রসগোল্লা, বালিশ মিষ্টি,মালাইচপ, সন্দেশ, লেংচা,রাজভোগ- কী নেই সেখানে!
এখানকার মিষ্টির জনপ্রিয়তার কারণ দোকানগুলোর পেছনেই লুকিয়ে আছে! প্রায় প্রতিটি দোকানের সঙ্গে থাকে এখানে ছোট্ট রসুইঘর। যেখানে কারিগররা আপনমনে মিষ্টি বানিয়ে চলছেন। কিছুক্ষণ পরপরই গরম গরম মিষ্টি এনে ঢালছেন দোকানের বড়বড় গামলায়। আপনি চাইলে রসুইঘরে উঁকি মেরে দেখতে পারবেন তাঁদের মিষ্টি তৈরীর প্রক্রিয়া।
জিবে জল আনা মালাইচপ বানাচ্ছিলেন সুকুমার বাবু। তার দোকানের নাম পূর্বাচল মিষ্টান্ন ভান্ডার। ৪৫ বছর ধরে মিষ্টি তৈরী করছেন এই কারিগর। তিনি বলেন এখানকার মিষ্টির স্বাদ মনে রাখার মতো। কারণ মিষ্টিগুলো যেমন সুস্বাদু তেমন টাটকা। নিজের চোখে মিষ্টি বানানো দেখা যায় বলে ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ জন্মেছে এখানকার মিষ্টি নিয়ে।
বিশালাকার বালিশ মিষ্টির ওজন হয় এক থেকে দেড় কেজির মতো। এই মিষ্টি কেজিপ্রতি পড়বে ২৫০ টাকা। রসমালাই, মালাইচপ, ছানার মিষ্টি, স্পঞ্জ মিষ্টির দাম প্রতি কেজি ৪০০ টাকা। কাঁচা রসগোল্লা কেজিতে ৩০০ টাকা। চমচম, বেবি সুইট, লেংচা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা। রসগোল্লা ও কালোজামের প্রতিকেজি ২৫০ টাকা। চাইলে পিস হিসেবেও মিষ্টি খেতে পারবেন, বাসায়ও নিয়ে যেতে পারবেন প্যাকেট করিয়ে।
নীলা মার্কেট যাওয়ার জন্য প্রথমে যেতে হবে কুড়িল বিশ্বরোডে। সেখান থেকে সিএনজি, অটোরিকশা অথবা বিআরটিসি বাসে করে সহজেই যেতে পারবেন নীলা মার্কেটে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে নীলা মার্কেট যেতে সময় লাগবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট।
ছবি: লেখক