ঘরে সহজেই বানান মসুর ডালের বড়ি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরে চাষ করা হয় বহু জাতের সুস্বাদু আর পুষ্টিকর রবিশস্য। আর সব ধরনের ডালের মধ্যে মসুর ডালই সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত। ঘরে ঘরে মসুরের ডাল দিয়ে ডাল চচ্চড়ি, ডালের বড়া, ডালের বিরান বা ভুনা, পাতলা ডাল, সবজি দিয়ে ডাল এমন সব পদ রোজই হয়। তবে একটু অন্য রকমভাবে মসুর ডালের বড়ি বানিয়ে রেখে দিলে, তা দিয়ে করা যায় দারুণ মজাদার সব পদ।

টেকশ্চারের দিক থেকে অনন্য আর এই দিনের চড়া রোদে শুকিয়ে ব্যতিক্রমী এক ফ্লেভার দেয় মসুর ডালের বড়ি। দেখতেও বড়ই মনোহর কমলা রঙের এসব বড়ি।মসুর ডাল এমনিতেই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে আয়রন, প্রোটিন, আঁশ আর খনিজ পদার্থ আছে যথেষ্ট। এক কাপ মসুরের ডালে আছে ১৪ গ্রাম প্রোটিন, যেখানে একটি সেদ্ধ ডিম থেকে আমরা প্রোটিন পাই ৬ থেকে ৭ গ্রাম। তবে ডিমের প্রোটিন আরও উচ্চমানের এবং এতে সব ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। কিন্তু দিনে বিভিন্ন রকমের উদ্ভিজ্জ আমিষ খেলেও একই রকম পরিপূর্ণ প্রোটিন মেলে, বলেন পুষ্টিবিদেরা৷ আর এর একটি নিঃসন্দেহে হতে পারে সহজপাচ্য মসুরের ডাল।

এক কাপ মসুরের ডালে আরও মেলে ৮ গ্রাম আঁশ আর ৬ গ্রাম আয়রন। এতে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেশিয়ামও থাকে ভালো পরিমাণে। তাই এভাবে ডালের বড়ি করে খেলে নিত্যদিনের পাতলা ডালের তুলনায় একসঙ্গে বেশি পরিমাণ পুষ্টি মিলবে বিশেষত আমিষ।

বিজ্ঞাপন

যেভাবে বানাবেন

মসুরের ডালের বড়ি করতে বেশি ঝক্কি পোহাতে হয় না। প্রথমেই ডাল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডাল ফুলে–ফেঁপে গিয়ে নরম হলে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। তারপর ডালে একটু হলুদ ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে ব্লেন্ডারে বা শিলপাটায় সামান্য একটু পানি দিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে। ডাল বাটতে পানি বেশি দিলে কিন্তু বড়ি ভালো হবে না।

এবার ডাল বাটায় অল্প কালিজিরা দিয়ে মিনিট পাঁচেক পরিষ্কার হাতে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এতে বাটা ডাল অনেকটা ফুলে উঠবে। তারপর একটি ছড়ানো ডিশ বা ট্রেতে শর্ষের তেল মাখিয়ে তার ওপর হাতের সাহায্য ছোট ছোট করে বড়ি দিয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে। বড়ি শুকিয়ে গেলে নিজ থেকেই ছেড়ে যাবে ও পাত্র থেকে উঠে আসবে। যত ভালো রোদ পাবে, বড়ি তত সুন্দর হবে।

এভাবে মসুর ডালের বড়ি বানিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে অনেক দিন। আর এই বড়ির ভর্তা করলে বা সবজি দিয়ে রাঁধলে তা একে তো দারুণ সুস্বাদু হবে, আবার সেই সঙ্গে মাছ-মাংসের দুর্মূল্যের বাজারে অনেকটা সাশ্রয়ী হবে।

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬: ১৭
বিজ্ঞাপন