সুজি দেড় কাপ
তরল দুধ লিটার
নারকেল কোরা দেড় কাপ
চিনি দেড় কাপ
তরল গুড় ২ টেবিল চামচ
কিশমিশ ১০-১২ টা
কাঠবাদাম ১০-১২ টা
সাজানোর জন্য চেরির কুচি ও কুমড়ার বিচি ২ টেবিল চামচ
ঘি ২ টেবিল চামচ
গুঁড়া দুধ আধা কাপ
লবণ আধা চা চামচ
প্রথমে একটি প্যানে ঘি দিয়ে সুজি এমনভাবে ভেজে নিতে হবে যেন ভাজা টা বেশি লাল না হয়ে যায়। সুজি ভাজা হয়ে গেলে দুধ দিয়ে নাড়াচাড়া করে অল্প চিনি আর সামান্য লবণ দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে। প্যান থেকে যখন সুজির মিশ্রণটা ছেড়ে আসবে তখন একটু নরম থাকতে থাকতে সুজির খামিরটা নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
এবার পিঠার পুর বানানোর জন্য প্রথমে প্যানে নারকেল কোরা আর একে একে চিনি, গুঁড়া দুধ, তরল গুড়, কাঠবাদাম কুচি, কিশমিশ দিয়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ মিনিট মধ্যম আঁচে রান্না করে আঠালো ভাব আসলে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর একটি প্লেটে সামান্য ঘি লাগিয়ে তাতে অর্ধেক সুজির ডো নিয়ে হাত দিয়ে চেপে চেপে ক্রিসেন্ট বা চাঁদের আকৃতি দিতে হবে। এই চাঁদের মতো করে বানানো পিঠার ওপরে নারকেলের পুরটাও একইভাবে চেপে বসিয়ে ওপরে বাকি অর্ধেক সুজির খামির বসিয়ে সেই চাঁদের মতো আকৃতি দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সব মিলিয়ে দেখতে ঠিক চাাঁদের মতোই দেখায় এই চন্দ্রপুলি। এরপর ওপরে চেরি ও কুমড়ার বিচি বা পছন্দের ড্রাইফ্রুটস দিয়ে নিজের মনমতো সাজিয়ে নিতে হবে নিতে হবে। ব্যাস হয়ে গেল চাঁদের মত দেখতে চন্দ্রপুলি পিঠা। এটি খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠা। জামাইপিঠা নামেও পরিচিত এই পিঠা।