বৃষ্টি হলেই খিচুড়ি খাওয়া হয়। কিন্তু রোজ রোজ সেই ভুনা, ল্যাটকা আর মাখা খিচুড়ি আর কত! এদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয় এক মজার পর রয়েছে, যা বৃষ্টির দিনগুলোকে জমিয়ে দিতে পারে রসনাবিলাসে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝালের পোলাওয়ের কথাই বলছি। ঘরে থাকা চাল আর রান্না করা মাংস দিয়েই ঝটপট চড়িয়ে দিতে পারেন।
ঐতিহ্যগতভাবে এতে ঢেঁকিছাটা নতুন ধানের চাল ব্যবহার করা হতো। রাঁধা যায় গরু, মুরগি বা হাঁসের মাংস দিয়েই। গতানুগতিক বিরিয়ানির চেয়ে এই ঝালের পোলাও অনেকটাই আলাদা আর মুখরোচক স্বাদের। এতে আগে চাল ভুনে নেওয়া হয় বলে অন্যরকম এক ফ্লেভার আসে। আজ বৃষ্টিবিলাস হয়ে যাক তবে ঝাল ঝাল আর গরমাগরম ঝালের পোলাওয়ের সঙ্গে।
ভাতের চাল ৫০০ গ্রাম
রান্না করা গরুর মাংস ৭০০ গ্রাম
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
কাঁচামরিচ ৫-৭ টা
তেল ৩ টেবিল চামচ
লবণ স্বাদমতো
তেজপাতা ২ টা
দারুচিনি ১ টুকরা
এলাচ ২ টা
প্রথমেই চাল ভেজে নিতে হবে একদম বাদামি করে। কোনো চাল যেন সাদা না থাকে। কম আঁচে অনবরত নেড়ে ভালোভাবে ভেজে নিন। এবার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে তেল দিন। গরম হয়ে এলে তাতে পেঁয়াজ দিন। পেঁয়াজ হালকা বাদামি রং হলে তাতে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে তাতে ধুয়ে রাখা ভাজা চাল দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে রান্না করুন।
চালের দ্বিগুণ পরিমাণ গরম পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।চুলার আঁচ প্রথমে মাঝারি রেখে রান্না করুন। পানি অর্ধেক কমে এলে তাতে আগে রান্না করে রাখা মাংস ঢেলে দিয়ে নেড়ে চেড়ে চুলার আঁচ কমিয়ে আরো কিছুক্ষণ ঢেকে রান্না করুন। পানি শুকিয়ে পোলাও মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন। একেবারে ঝরঝরে হবে না।