রসমালাই বাঙালির কাছে এক আবেগের নাম। রসগোল্লা তো এক ক্ল্যাসিক ব্যাপার। কিন্তু ছোট ছোট রসগোল্লার মতো কিছুটা ডিম্বাকৃতির মিষ্টি গড়ে চিনির শিরায় অবগাহনের পর মেঘসাদা অথবা ঘন ক্ষীরের দুধ চা–রঙা মালাইয়ে ডোবানো রসমালাই যেন আমাদের এক অন্য জগতে নিয়ে যায় মুখে পুরলেই। এর বিলাসী মালাই আর মেঘের মতো তুলতুলে মিষ্টি মিলেমিশে যা করে, তাকে জাদু ছাড়া আর কীই–বা বলা যায়!
কুমিল্লার আদি মাতৃভান্ডারের রসমালাই তো সবাই কমবেশি খেয়েছেন। কিন্তু ঘরে বানানো মিষ্টির আবেদন আলাদা। সানা ইসলামের ধাপে ধাপে সহজ করে লেখা এই রেসিপি অনুসরণ করে রসমালাই বানিয়ে মুগ্ধতা ছড়ানো যায় যেকোনো নিমন্ত্রণের ডেজার্টের আয়োজনে। পরিবারের সবাই মিলে এমনি এমনি মিষ্টিমুখ করলেই–বা কী!
ছানা ১ কাপ
ময়দা বা সুজি ১ চা-চামচ
ফুলক্রিম দুধ ১ কেজি
চিনি ৫০০ গ্রাম
পানি ৫০০ মিলিলিটার
কেওড়ার জল ২ ফোঁটা
কর্নফ্লাওয়ার আধা চামচ
জাফরান ১ চিমটি
জাফরান ভেজানোর জন্য দুধ ২ টেবিল চামচ
মালাইয়ের জন্য চিনি ৩ টেবিল চামচ
ছানার সঙ্গে ময়দা বা সুজি ও ১ চা-চামচ চিনি দিয়ে হালকা হাতে মথে নিতে হবে যেন কোনো রকম দানা না থাকে। মথা হলে এ থেকে ছোট ছোট কিছুটা ডিম্বাকৃতির বল বানিয়ে নিতে হবে।
একটি বড় পাত্রে চিনি ও সমপরিমাণ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে ফুটতে দিতে হবে। শিরা ফুটে উঠলেই তাতে ছানার বলগুলো দিয়ে ১৫ মিনিট সর্বোচ্চ আঁচে ফুটতে দিতে হবে। চুলা বন্ধ করে মিষ্টি তাতেই ডোবানো অবস্থায় থাকবে।
এবার মালাই তৈরি করার পালা। ফুলক্রিম দুধ নেড়ে নেড়ে মাঝারি-উচ্চ তাপে জ্বাল দিয়ে ঘন করে তিন ভাগের এক ভাগ করে নিতে হবে। এর সঙ্গে দিয়ে দিতে হবে ৩ টেবিল চামচ চিনি ও ২ ফোঁটা কেওড়ার জল। সবশেষে কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ পানিতে গুলিয়ে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে মালাইয়ে মোলায়েম ভাব চলে আসবে এবং খেতেও ভালো লাগবে। এ পর্যায়ে দুধে ভেজানো জাফরান দিয়ে দিতে হবে।
এবার শিরা থেকে মিষ্টিগুলো তুলে ঘন করে রাখা দুধের মালাইয়ে ডুবিয়ে দিতে হবে। ২ থেকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে রসে টইটম্বুর মিষ্টিগুলোর মালাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে দেওয়ার জন্য। এবার পরিবেশনের পালা। ঠান্ডা করে খেলে আরও বেড়ে যাবে স্বাদ মেঘসাদা তুলতুলে এই রসমালাইয়ের।